বাঘ-সিংহের লড়ায়ে চট্টগ্রামে জয় পেলো না কোনো দল। প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে মুশফিকুর রহিমের পাঁচ হাজার রান ক্লাবে প্রবেশের ম্যাচটি ড্র হয়েছে। শ্রীলংকার ৩৯৭ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে ৪৬৫ সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে শ্রীলংকা ৬ উইকেটে ২৬০ রান তোলে। ম্যাচ সেরার পুরস্কার পান শ্রীলংকার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস।
আগের দিনই ইংগিত ছিলো, নাটকীয় কিছু না ঘটলে চট্টগ্রাম টেস্ট ড্র হওয়ার। তাইজুল ও সাকিবের ঘূর্ণিজাদুতে ম্যাচে রোমাঞ্চ ছড়ালেও, দিনেশ চান্দিমাল ও নিরোশান ডিকাভেলা প্রাচীর হয়ে দাঁড়ানোয়, দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট ড্র-ই হলো।
অবশ্য আগের দিনের ২ উইকেটে ৩৯ রান নিয়ে মাঠে নেমে আগ্রাসী মেজাজে ছিলেন কুশল মেন্ডিস। করুনারতেœকে নিয়ে প্রথম ঘন্টায় তোলেন ৬৭ রান। তাতে লংকারদের লিড ৩৮ রানের। পানি পানের বিরতি শেষে, দুই বল পরই আগ্রাসী মেন্ডিসকে প্যাভিলিয়নে ফেরান তাইজুল ইসলাম। ৪৩ বলে ৪৮ রান তখন মেন্ডিসের।
প্রথম ইনিংসে ১৯৯ করা অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসকে রানের খাতাই খুলতে দেননি তাইজুল। তাতে লাঞ্চের আগে ৪ উইকেটে ১২৮ রান লংকান সিংহদের। তাইজুলের স্পিনে সতীর্থরা কুপোকাত হলেও একপ্রান্তে অবিচল করুনারত্নে, ফিফটি তুলে নিলেও, দলের ১৪৩ রানে, দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে ৫২ রানে থাকা করুনারত্নেকে নিজের চতুর্থ শিকারে পরিণত করেন তাইজুল। এরপর সাকিব আল হাসান, ৩৩ রানে থাকা ধনঞ্জয়াকে সাজঘরের পথ দেখান।
দ্বিতীয় সেশনে শ্রীলংকা আরো দুই উইকেট হারালে রোমাঞ্চ ছড়ায় চট্টগ্রাম টেস্টে। নাটকীয় কিছুর প্রত্যাশা তখন মুমিনুলের মনে। কিন্তু সপ্তম উইকেটে নিরোশান ডিকাভেলা ও দিনেশ চান্দিমাল প্রাচীর হয়ে দাঁড়ান। অবিচ্ছিন্ন ৯৯ রানের জুটিতে, ৬ উইকেটে ২৬০ রান তোলার পর ড্র মেনে নেয় দুই দল। অবশ্য তখনও বাকী ছিলো খেলার ১৫ ওভার।