প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে পাঁচ হাজার রান ক্লাবে নাম লেখালেন মুশফিকুর রহিম। চট্টগ্রাম টেস্টের আগে এই রেকর্ড থেকে ৬৮ রান দূরে থেকে খেলা শুরু করেন বাংলাদেশের এই নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান। এতে বিশ্বের ৯৯তম ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি লাল বলের ক্রিকেটে পাঁচ হাজার রানের মালিক হলেন।
সময়টা মোটেই ভালো যাচ্ছিলো না মুশফিকুর রহিমের। ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবলের ব্যাটে রান খরা। শেষ ছয় ইনিংসে মোট রান ৭৬। তবে হাতছানি দিয়ে তাকে ডাকছিলো পাঁচ হাজার রানের অভিজাত ক্লাবের সদস্য হওয়ার। আর শ্রীলঙ্কাকে পেলেই জ্বলে উঠলেন মুশফিক।
চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে পাঁচ হাজার রানে পৌঁছাতে ১৫ রান দূরে ছিলেন মুশফিক। আসিতা ফার্নান্দোর বল ফাইন লেগে পাঠিয়ে দুই রান নিয়ে ব্যাট হালকা করে উঁচিয়ে ধরেন মুশফিক। পৌঁছে যান পাঁচ হাজার রানের মাইলফলকে।
২০০৫ সালে ১৭ বছর বয়েসে টেস্ট ক্রিকেটে পা পড়ে মুশফিকের। অভিষেকের পর ৮১তম টেস্টে ১৪৯ ইনিংস ব্যাট করে পাঁচ হাজার রান করলেন তিনি। মাইলফলকে পৌঁছা পর্যন্ত তার ছিল ২৬ ফিফটি আর ৭ সেঞ্চুরি। এই সাতের তিনটিকেই আবার ডাবল সেঞ্চুরিতে পরিণত করেছিলেন মুশফিক।
বাংলাদেশের হয়ে সবার আগে এক হাজার, দুই হাজার ও তিন হাজার রান করেন হাবিবুল বাশার সুমন। চার হাজার রানে প্রথম ছিলেন তামিম ইকবাল। পাঁচ হাজারে মুশফিক হলেন প্রথম। তার আগে টেস্টে পাঁচ হাজার রান করেছেন আরও ৯৮ জন ব্যাটার। এছাড়াও ওয়ানডে ক্রিকেটে ৬৬৯৭ এবং টি-টোয়েন্টিতে ১৪৯৫ রান করেছেন মুশফিকুর রহিম।