ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ লিস্ট এ'র মর্যাদা পাওয়ার পর প্রথম ব্যাটার হিসেবে লিগে হাজার রানের মাইলফলক গড়লেন এনামুল হক বিজয়। এর আগের ম্যাচে, লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে সাইফ হাসানকে টপকে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে সর্বোচ্চ রান করার রেকর্ড গড়েছিলেন বিজয়। তাঁর সামনে হাতছানি ছিল এক মৌসুমে এক হাজার রানের কীর্তি গড়ার। অবশেষে সেটিও পেয়ে গেলেন এই উইকেটরক্ষক উদ্বোধনী ব্যাটার।
রূপগঞ্জ টাইগার্সের বিপক্ষে আগে ফিল্ডিং করতে নেমে রুবেল ও করিমের বোলিংয়ে ২২৯ রানেই বেঁধে দেয় তাঁদের। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে কিছুটা ধীরগতির করলেও ধীরে ধীরে আগ্রাসী হতে থাকেন বিজয়। ২৬ বলে ২৭ রান করার পর মহিউদ্দিনের ওভারেই দশ রান তোলেন তিনি। শরিফুল্লাহর ওভারেও দশ রান নেন তিনি। ১২তম ওভারে নাহিদের প্রথম বলে ফাইন লেগে ছয় মেরে ৩৮ বলেই ফিফটি তুলে নেন বিজয়।
হাজার রানের ক্লাবে ঢুকতে বিজয়ের প্রয়োজন ছিল আরও ৩০ রান। ধীরে ধীরে সেটির দিকেই যান এ উদ্বোধনী ব্যাটার। অবশেষে সেই কাঙ্ক্ষিত মুহূর্তটি আসে ১৮তম ওভারের শেষ বলে। নাহিদ হাসানের করা বলটি কাভারে ঠেলে দিয়ে এক রান নিলেই প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ডিপিএলের এক মৌসুমে এক হাজার রান করার রেকর্ড গড়েন বিজয়।
এক হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করার পরপরই ব্যাট তুলে উদযাপন করেন বিজয়। সেই সঙ্গে শুভেচ্ছা পান ওয়ানডে দলের অধিনায়ক তামিমসহ তাঁর দলের সতীর্থদের। এমনকি তাঁকে অভিনন্দন জানান প্রতিপক্ষ দলের সতীর্থরাও। এই রিপোর্ট লেখা অব্দি ৬০ বলে ৭১ রান করে অপরাজিত রয়েছেন বিজয়।
উল্লেখ্য, ২০১৮-১৯ মৌসুমে প্রাইম দোলেশ্বরের হয়ে ৮১৪ রান করেছিলেন সাইফ হাসান। সাইফ ও বিজয়ের পরেই রয়েছেন আরেক ওপেনার নাঈম শেখ। ২০১৮-১৯ মৌসুমে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের হয়ে ৮০৭ রান করেন নাঈম।
একই মৌসুমে চতুর্থ সর্বোচ্চ ৭৮১ রান করেন রকিবুল হাসান। এই তলিকায় রয়েছেন আরেক ওপেনার লিটন দাস। ২০১৭ মৌসুমে আবাহনী লিমিটেডের হয়ে ৭৫২ রান করেন লিটন। অবশ্য ঢাকা লিগে এর আগে এক হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক গাজী আফরাফ হোসেন লিপু এবং স্টিভ টিকোলো।
শুধু তাই নয়, তামিম-এনামুল জুটি রূপগঞ্জ টাইগার্সের বিপক্ষে প্রাইম ব্যাংকে জিতিয়েছে ১০ উইেকেটের বড় ব্যবধানে। নাসুম আহমেদের করা ইনিংসের ২৫তম ওভারের পঞ্চম বলে বিশাল ছক্কা হাঁকিয়ে লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের ২০তম সেঞ্চুরি পূরণ করেন তামিম। মাত্র ৭৭ বলে ৯ চার ও ৬টি ছয়ের মারে এই মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৮১ বলে ৯ চার ও ৭ ছয়ের মারে ১০৯ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
অন্যদিকে চলতি আসরে নিজের তৃতীয় ও সবমিলিয়ে ১৫তম লিস্ট ‘এ’ সেঞ্চুরি করতে ৮০ বল খেলেন এনামুল বিজয়। পরপর দুই বলে দুই ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ শেষ করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৮৪ বলে ১১ চার ও ৬ ছয়ের মারে ১১২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন বিজয়।
এ নিয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের এবারের আসরে তিন সেঞ্চুরি ও আট ফিফটিতে বিজয়ের নামের পাশে মোট সংগ্রহ দাঁড়ালো ১০৪২ রান। বৃহস্পতিবার গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে নিজের সংগ্রহ আরও বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ থাকছে বিজয়ের সামনে।