খুলনা টাইগার্সকে ২৫ রানে হারিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ-বিপিএলে টানা দ্বিতীয় জয় পেয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। তরুণদের নিয়ে গড়া চট্টগ্রামের ব্যাটার ও বোলাররা দলগত নৈপুণ্য দেখিয়ে এই জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে, ১৯১ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ৪ ওভারেই তানজিদ হাসান তামিম ও রনি তালুকদারকে হারায় খুলনা। তামিম ৯ বলে ৯ রান ও রনি ৬ বলে ৭ রান করেন। শেখ মেহেদী হাসান ও আন্দ্রে ফ্লেচার ইনিংস গুছানোর কাজ করেন। তবে দুর্ভাগ্যবশত মাথায় আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন ফ্লেচার। ১২ বলে ১৬ রান করেন তিনি।
ভালো খেলতে থাকা মেহেদী আউট হন কেনার লুইসের এক অবিশ্বাস্য বলে। ৫ বাউন্ডারিতে ২৪ বলে ৩০ রান করেন মেহেদী। মুশফিক বিদায় নেন ১৫ বলে ১১ রানের শ্লথ ইনিংস খেলে। ফ্লেচারের বদলে কনকাশন-সাব হিসেবে মাঠে নামেন সিকান্দার রাজা। ১২ বলে ২২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে রেজাউর রহমান রাজার বলে আউট হন।
খুলনার ইনিংসে বাকি সময় ইয়াসির একাই লড়াই করেন। ১৯তম ওভারে ইয়াসির আউট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই খুলনার জয়ের স্বপ্নও শেষ হয়ে যায়। ২টি চার ও ৩টি ছক্কায় ২৬ বলে ৪০ রান করেন ইয়াসির। খুলনা থামে ১৬৫ রানে। চট্টগ্রামের পক্ষে মিরাজ, শরিফুল ও রেজা ২টি করে উইকেট তুলে নেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নামে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। সোহরাওয়ার্দী শুভর প্রথম ওভারে ২৩ রান সংগ্রহ করে ম্যাচ শুরু করেন কেনার লুইস ও উইল জ্যাকস। মাত্র ৭ বলের ঝড়েই থেমে যান জ্যাকস। ১ চার ও ২ ছক্কায় ৭ বলে ১৭ রান করে কামরুল ইসলাম রাব্বির শিকার হন তিনি।
আফিফ হোসেনের সঙ্গে ২৩ রান যোগ করে বিদায় নেন লুইস। লুইস দুইটি করে চার ও ছক্কায় করেন ১৪ বলে ২৫ রান। রান-আউট হয়ে ১৩ বলে ১৫ রান করে আফিফ বিদায় নেন। চতুর্থ উইকেটে বড় জুটি গড়েন সাব্বির ও মেহেদী হাসান মিরাজ। ফরহাদ রেজার এক ওভারে সাব্বির ও মিরাজ দুইজনেই জীবন পেয়েছিলেন।
আফগান পেসার নাভিন উল হকের এক ওভারে টানা তিন চার হাঁকানোর পর চতুর্থ বলটিও চার হাঁকানোর জন্য স্কুপ করতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন মিরাজ। চট্টগ্রামের অধিনায়কের ব্যাট থেকে আসে ২৩ বলে ৩০ রান। চারটি চার হাঁকান তিনি। মিরাজ ফেরার দুই ওভার পরই ৩৩ বলে ৩২ রানের ধীরগতির ইনিংস খেলে বিদায় নেন সাব্বির।
শেষ ৫ ওভারে চট্টগ্রাম সংগ্রহ করে ৬২ রান। হাওয়েল ২০ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন। তার ইনিংসে ছিল চারটি চার ও একটি ছক্কা। নাঈম ইসলাম দুই ছক্কায় ৫ বলে ১৫ রানের ক্যামিও দেখিয়ে ইনিংসের শেষ বলে রান-আউট হন।
নির্ধারিত ২০ ওভারে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স সংগ্রহ করে ৭ উইকেটে ১৯০ রান। খুলনার পক্ষে কামরুল দুইটি এবং নাভীন ও রেজা একটি করে উইকেট পান।