অস্ট্রেলিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মধ্যদিয়ে শেষ হয়ে গেল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসর। সবার দৃষ্টি এখন অস্ট্রেলিয়ার দিকেই। কেননা, ২০২২ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অষ্টম আসরটি যে বসবে তাসমান সাগরপাড়েই। তবে ২০২৪ সালে কোন দেশে অনুষ্ঠিত হতে পারে সংক্ষিপ্ত ফর্ম্যাটের এই আইসিসি ইভেন্ট, সে বিষয়ে পাওয়া গেল গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে দীর্ঘ ১০ বছর পর ভারত, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বাইরে অন্য কোনও দেশের হাতে দেয়া হতে পারে আইসিসি বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব। আসলে, ২০২৮ সালে লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকের কথা মাথায় রেখেই ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব দেয়া হতে পারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকেই।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ। তারপর ২০১৫ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে অস্ট্রেলিয়ায়। ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করেছে ভারত। ২০১৭ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজিত হয়েছে ইংল্যান্ডে। ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপ এবং ২০২১ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালও অনুষ্ঠিত হয়েছে ইংরেজ ভূমিতেই।
আর ওমান ও আমিরাতে আয়োজিত এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ প্রাথমিকভাবে ভারতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে করোনার কারণে নিজ দেশে টুর্নামেন্ট আয়োজনে ব্যর্থ হয় বিসিসিআই। যাইহোক, ২০২২ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অস্ট্রেলিয়ায় হওয়ার পর ২০২৩ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপের আসরটি বসবে সেই ভারতেই। তাই জল্পনা এখন ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়েই।
সিডনি মর্নিং হেরাল্ডের খবর অনুযায়ী, পরবর্তী সাইকেলের আইসিসি ইভেন্টগুলো কোন দেশে আয়োজিত হবে, তা আগেভাগেই জানিয়ে দেয়া হবে। এখন থেকে আইসিসির লক্ষ্য তাদের ইভেন্টগুলো অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে দেয়া এবং সহযোগী দেশগুলোকেও তাতে শামিল করা। তবে এককভাবে না হলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে যৌথমভাবে আমেরিকার হাতে তুলে দেয়া হতে পারে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব। সেক্ষেত্রে ২০২৮ সালে লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকে ক্রিকেট অন্তর্ভুক্তির আগে আমেরিকায় বিশ্বকাপের আসরেই স্টেজ রিহার্সেলটা হয়ে যেতে পারে বলেই মনে হচ্ছে।