চার বছরের পরিবর্তে দুই বছর অন্তর বিশ্বকাপ আয়োজনে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রন সংস্থা ফিফার পরিকল্পনাকে প্রত্যাখান করেছে প্রিমিয়ার লিগের ২০টি ক্লাব। আন্তর্জাতিক ক্যালেন্ডার নিয়ে আয়োজিত এক সভায় ইংলিশ লিগের ক্লাবগুলো তাদের মতামত জানায়।
এছাড়াও লিগের ২০টি ক্লাবই ফিফার আন্তর্জাতিক সূচীর পাঁচটি উইন্ডো কমানোর প্রস্তাবও প্রত্যাখানও করেছে।
এ সম্পর্কে প্রিমিয়ার লিগের প্রধান নির্বাহী রিচার্ড মাস্টার্স এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘২০২৪ ফিফা বিশ্বকাপ পরবর্তী আন্তর্জাতিক ক্যালেন্ডারে যেকোন বড় পরিবর্তনের বিষয়টি কোনভাবেই মেনে নিবে না প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব। ক্লাবগুলো মনে করে বড় এই পরিবর্তনে কার্যত খেলোয়াড়রাই ক্ষতিগ্রস্থ হবেন এবং এর ফলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা, কাঠামো, ক্যালেন্ডর ও ঘরোয়া ফুটবলের ঐতিহ্য কমে যাবার হুমকি থাকবে।‘
ইউরোপিয়ান ফুটবলের নিয়ন্ত্রন সংস্থা উয়েফা ইতোমধ্যেই ফুটবলের এই পরিবর্তনের বিষয়ে শঙ্কা জানিয়ে বলেছে এমন হলে ইউরোপিয়ান কোন দেশ বিশ্বকাপে অংশ নিবে না। ফিফা সভাপাতি গিয়ান্নি ইফান্তিনো ও ফিফা ডেভেলপমেন্ট কমিটির প্রধান ও সাবেক আর্সেনাল ম্যানেজার আর্সেন ওয়েঙ্গারই মূলত দুই বছর অন্তর বিশ্বকাপ আয়োজনের একটি প্রস্তাব দিয়েছে যা নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমীক্ষা শুরু হয়েছে।
মাস্টার্স বলেন, ‘আমরাও নতুন ধারনা ও পরিকল্পনা পক্ষে। কিন্তু সেই পরিবর্তনগুলো অবশ্যই আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ফুটবলের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। যাতে করে সব পর্যায়ের ফুটবলের উন্নতি হয়। ফিফা এই ধরনের পরিকল্পনায় অবশ্য লীগগুলোর জন্য অর্থপূর্ণ কোন বিষয় থাকতে হবে। কারন বিশ্বজুড়ে এই লিগই ফুটবলের মূল কাঠামো তৈরী করে দিচ্ছে। দীর্ঘমেয়াদে ভবিষ্যতে যাতে ফুটবলের সর্বোচ্চ উন্নতি বজায় থাকে সেজন্য আমরা সাপোর্টার গ্রুপ, খেলোয়াড়, ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক নীতিনির্ধারকদের সাথে আলোচনা করে একটি সমাধান বের করতে পারি। এজন্য সকলকে নিজ নিজ জায়গা থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
ইনফান্তিনো বলেছেন প্রতি এক বছর অন্তর একটি করে পুরুষ ও নারী বিশ্বকাপ আয়োজিত হলে তা তরুন সমর্থকদের ফুটবলের প্রতি আকৃষ্ট করবে। একইসাথে আরো বেশী দল বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাবে, এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও বাড়বে।