সেরা পারফরমেন্স দিয়ে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলকে জয় উপহার দিতে চান পেসার তাসকিন আহমেদ। তবে এবারের বিশ্বকাপটা বোলারদের জন্য চ্যালেঞ্জিং হবে বলে মনে করেন বাংলাদেশের এই গতি তারকা।
২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার কথাই ছিল তাসকিন আহমেদের। কিন্তু অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের নিষেধাজ্ঞায় আর খেলা হয়নি। ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলা প্রায় নিশ্চিতই ছিল, শেষ পর্যন্ত ইনজুরির কারণে দলে ডাকই পাননি তাসকিন। আসন্ন ওমান-আমিরাত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের পেস আক্রমণের মূল বড় ভরসাই এখন তিনি। সবকিছু ভুলে বিশ্বমঞ্চে নিজেকে মেলে ধরে দেশের জয়ে ভূমিকা রাখতে চান তাসকিন।
তাসকিন আহমেদ বলেন, আমি খুব এক্সাইটেড। কারণ ওমানে এর আগে আমার কখনো খেলতে যাওয়া হয়নি। ইভেন দুবাইয়ে যে টুর্নামেন্টগুলো হয়েছে আমি ম্যাচ খেলিনি এখন পর্যন্ত। ইনশাল্লাহ আমার জন্য ওমান এবং দুবাইয়ে খেলাটা অনেক নতুন হবে যদি আমার সুযোগ হয় ইনশাল্লাহ। এট দ্য সেম টাইম আমি চাই যে ভালো কিছু উপহার দিয়ে ম্যাচ জেতানো।
দীর্ঘ পাঁচবছর পর আবারও বিশ্বকাপের বিশ্বমঞ্চে, স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত তাসকিন। বিশ্বকাপে নিজের সেরাটাই দিতে চান ২৬ বছর বয়সী এই পেসার। তাসকিন আহমেদ জানান, বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পেয়ে আমি খুশি। খেলতে যাবো তাতে খুব এক্সাইটেড। যদিও কন্ডিশনের কারণে টি-টোয়েন্টিতে শেষ দুইটি সিরিজে সেভাবে ম্যাচ খেলতে পারি নাই, শেষ ম্যাচটা খেলা হয়েছে। প্রিপারেশন অনুযায়ী ওটিস গিবসন ও টিম ম্যানেজমেন্টদের সঙ্গে ভালোমতো কাজ করা হচ্ছে। ওখানে গিয়েও প্রিপারেশনের জন্য বেশকিছুদিন সময় পাবো। আশাকরি ভালোকিছু করতে পারবো।
সম্প্রতি মিরপুরের কন্ডিশনে ম্যাচ খেলার তেমন সুযোগ পাননি তাসকিন। ওমান-আমিরাতে আগে খেলার অভিজ্ঞতাও নেই। অবশ্য প্রস্তুতি নিয়ে চিন্তিত নন। বিশ্বকাপটা বোলারদের জন্য চ্যালেঞ্জিং হবে বলেই ধারণা তাসকিনের। তিনি বলেন, প্রিপারেশনের জন্য আমরা ১০তিন পাচ্ছি এবং কিছু প্র্যাকটিস ম্যাচও পাবো তিনটার মতো। তাছাড়া টি-২০ খেলাটাই এক্সিকিউশন, যেরকমই খেলা হোক আমাদের প্ল্যান মতো এক্সিকিউশন করতে হবে। এক্সিকিউশনটা অনেক ইমপরটেন্ট হবে। আইসিসি’র ইভেন্ট। আশা করি যে ফ্ল্যাট ট্র্যাক বা স্পোর্টিং ট্র্যাক হবে। চ্যালেঞ্জিংও হবে বোলারদের জন্য। এট দ্যা সেম টাইম এক্সিকিউশন প্রপার হলে ভালো করারও চান্স থাকে।
আগামী ১৭ অক্টোবর মাসকাটে বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। প্রথমপর্বের বাধা পার হলেও কেবল মূল পর্বে সংযুক্ত আরব আমিরাতে খেলার ছাড়পত্র পাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।