১৬৭ রানের টার্গেট, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জন্য চ্যালেঞ্জিংই বটে। আর এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৫৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে পরাজয়ের শঙ্কায় পড়ে বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে টপ ও মিডল অর্ডারের কেউ কোনো অবদান রাখতে পারেননি। দুই ওপেনার নাঈম ও সৌম্যর পর ব্যর্থ সাকিব ও মাহমুদউল্লাহ। বড় বড় শট খেলতে গিয়ে সবাই বাউন্ডারিতে ক্যাচ দেন। অবশেষে পরাজয়ই জোটে বাংলাদেশের। ১৬৭ রানের লক্ষ্যে নেমে ১ বল বাকি থাকতে ১৪৩ রানে অলআউট মাহমুদুল্লাহর দল।
২৩ রানে জয় নিয়ে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি নিজের করে নিল জিম্বাবুয়ে। ১-১ সমতায় আগামী ২৫ তারিখে সিরিজ নিশ্চিতের জন্য একই ভেন্যুতে খেলতে নামবে দুই দল।
তবে কিছুটা ধরে রেখে খেলতে চেয়েছিলেন অলরাউন্ডার আফিফ। ব্যর্থ তিনিও। ২৫ বলে ২৪ রান করে বিদায় নেন চাতারার বলে। প্রথম দিকে সবাই তাকিয়েছিল আফিফ ও অভিষিক্ত অলরাউন্ডার শামিম হোসেন পাটওয়ারীর দিকে। আন্তর্জাতিকে প্রথম ম্যাচে নেমে দুর্দান্ত কয়েকটি শট খেলে আশা জাগিয়েছিলেন শামিম। কিন্তু তিনিও পারলেন না। মারমুখি হয়ে খেলতে গিয়ে বিদায় নেন। লুক জঙ্গুয়ের বলে লংঅনে ক্যাচ দেন শামিম পাটওয়ারি। এর আগে ৩ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ১৩ বলে করেন ২৯ রান।
এরপর ম্যাচ জেতানের সব দায়িত্ব এসে জমে অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিনের কাঁধে। তবে তিনিও ব্যর্থতার কাছে করেন আত্মসমর্পণ। তাতে শেষ ওভারে প্রয়োজন পড়ে ৩০ রানের। বাউন্ডারি হাঁকানো ছাড়া কোনো উপায় ছিল না।
লুক জঙ্গুয়ে প্রথম বলটি ওয়াইড দেন। দ্বিতীয় বলকে বাউন্ডারি হাঁকান সাইফউদ্দিন। কিন্তু তৃতীয় বল সজোরে হাঁকান। টাইমিং হয়নি। এক্সট্রা কভারে ধরা পড়ে সিকান্দার রাজার হাতে। ১৫ বলে ১৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন। ৩ বলে ২৪ রানের দরকার পরে। তিনটিতে ছক্কা হাঁকালেও লাভ নেই। ২ বলে ৩ রান নিয়ে পঞ্চম বলে তিনিও ধরা দেন লঙ ওনে। ১ বল বাকি থাকতে ১৪৩ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। ২৩ রানে জয় পায় জিম্বাবুয়ে।
এরআগে টসে জিতে ব্যাটিং নেয় জিম্বাবুয়ে। ৫৭ বলে ৭৩ রানের ইনিংস খেলেন জিম্বাবুয়ের ওপেনার ওয়েসলি মাধেভেরে। তার ইনিংসে ভর করে বাংলাদেশকে ৬ উইকেটে ১৬৭ রানের চ্যালেঞ্জিং টার্গেট ছুড়ে দেয় স্বাগতিকরা।
আর ১৬৭ রানের তাড়ায় গত ম্যাচের রেকর্ড উদ্বোধনী জুটি গড়া নাঈম-সৌম্য করেন মাত্র ১৪ রান। দুজনেই যথাক্রমে ৫ ও ৮ রানে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন। বাংলাদেশ ব্যাটিং ইনিংসের প্রথম ওভারটি করেন অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। ৭ রান দেন। দ্বিতীয় ওভারটি করান চাতারাকে দিয়ে। তার ওভারেও ৭ রান নিয়ে বিনা উইকেটে ১৪ রান জমা হয় স্কোরবোর্ডে।
এরপর দলীয় তৃতীয় ওভারটি করতে আসেন পেসার মুজারাবানি। নিজের প্রথম ওভারেই জোড়া আঘাত হানেন। প্রথম বলেই বোল্ড করেন নাঈমকে। চতুর্থ বলে সিকান্দার রাজার হাতে ক্যাচ তুলে দেন সৌম্য সরকার। দলের হাল ধরতে আসেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তিনিও ব্যর্থ হন। ১০ বলে মাত্র ১২ রানেই সমাপ্তি ঘটে তার ইনিংসের।
দলীয় সপ্তম ওভারে মাসাকাদজার চতুর্থ বলটি ঠিকমতো খেলতে পারেননি সাকিব। এজ হয়ে কভারে দাঁড়িয়ে থাকা সিকান্দার রাজার ক্যাচে পরিণত হন। মাসাকাদজার পরের ওভারের প্রথম বলেই ফেরেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। ৬ বলে মাত্র ৪ রান যোগ করেছেন আজ তিনি।
একই ওভারের চতুর্থ বলে মেহেদীকেও ফেরান মাসাকাদজা। ১৯ বলে ১৫ রানে থেমে গেছে মিরাজের ইনিংস। এর আগে দুই ওপেনারকে সাজঘরে ফিরিয়েছেন পেসার ব্লেসিং মুজারাবানি।