স্বাগতিক ইংল্যান্ডের প্রথমবার ইউরো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন টেমস নদীতে ভাসিয়ে দিয়ে টাইব্রেকারে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হওয়া ইতালিকে নিয়ে হৈ চৈ হচ্ছে বিশ্বজুড়ে। তিনবছর আগের বিশ্বকাপে বাছাইপর্ব পেরুতে ব্যর্থ হওয়া আজ্জুরিদের প্রত্যাবর্তনে মুগ্ধ ফুটবলবিশ্ব।
গত ১২ জুন থেকে শুরু হয়েছিল ইউরো কাপ। প্রথম ম্যাচে তুরস্কের মুখোমুখি হয়েছিল ইতালি। ৩-০ গোলে ঐ ম্যাচ জিতেছিল আজ্জুরিরা। ১১ জুলাই অর্থাৎ রবিবার শেষ হল ইউরো কাপ। ফাইনালে মুখোমুখি হয় ইতালি ও ইংল্যান্ড। চ্যাম্পিয়ন হয় আজ্জুরিরা। নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ের খেলা ১-১ গোলে ড্র ছিলো। টাইব্রেকারে ৩-২ গোলে ইংলিশদের হারিয়ে ৫৩ বছর পর ইউরো কাপ জেতে ইতালি।
দীর্ঘ প্রায় এক মাসে ইউরোপের বিভিন্ন দেশজুড়ে মোট ৫১টি ম্যাচ খেলা হয়েছে। সবমিলিয়ে ১৪২টি গোল হয়েছে। ইউরো কাপের নক আউট ও লিগ পর্ব ধরে ম্যাচ প্রতি গোলের হার ২.৭৯। সদ্য শেষ হওয়া ইউরো কাপে প্রতি ৩২ মিনিট অন্তর একটি করে গোল হয়েছে। সবকটি ম্যাচ ধরলে ১ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে ১৩, ১৬ থেকে ৩০ মিনিটের মধ্যে ১৬, ৩১ থেকে ৪৫ মিনিটের মধ্যে ১৮ এবং প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ৫টি গোল হয়েছে। আবার ৪৬ থেকে ৬০ মিনিটের মধ্যে ৩০, ৬১ থেকে ৭৫ মিনিটের মধ্যে ২৪, ৭৬ থেকে ৯০ মিনিটের মধ্যে ২৪ ও দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে পাঁচটি গোল হয়েছে। অর্থাৎ টুর্নামেন্টে প্রথমার্ধের থেকে দ্বিতীয়ার্ধে বেশি গোল করেছে দলগুলি। ৯১ থেকে ১২০ মিনিটের মধ্যে সাতটি গোল হয়েছে। তার মধ্যে পাঁচটি গোল হয়েছে অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধে এবং দুটি গোল হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে।
ইউরো কাপে সর্বাধিক ১৩টি গোল করেছে ইতালি। সমান গোল করেছে স্পেনও। ১২ এবং ১১টি গোল করেছে যথাক্রমে ডেনমার্ক ও ইংল্যান্ড। টুর্নামেন্টে সবচেয়ে কম ১টি গোল করেছে ফিনল্যান্ড। গোল বাঁচানোর ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছে সুইজারল্যান্ড। ২১টি সেভ রয়েছে তাদের ঝুলিতে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ডেনমার্ক ১৮টি গোল বাঁচিয়েছে।