ডেনমার্ককে ২-১ গোলে হারিয়ে ইউরো কাপের ফাইনালে ইংল্যান্ড। ১২ জুলাই শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে তাদের প্রতিপক্ষ ইতালি। নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ গোলে ড্র হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ১০৪ মিনিটে অধিনায়ক হ্যারি কেনের পেনাল্টি গোলে প্রথমবার ইউরো কাপের ফাইনালে উঠলো ইংলিশরা।
ডেনমার্ককে হারিয়ে স্বপ্নের ফাইনালে উঠলো ইংল্যান্ড। ইউরোর ৬১ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার শিরোপার শেষ দ্বৈরথে ইংলিশরা। ১৯৬৬ বিশ্বকাপের পর আবারও বড় কোন টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠলো থ্রি লায়নরা।
ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে খেলার শুরু থেকেই আধিপত্য ধরে রাখে হ্যারি কেনের দল। ডেনিশরাও সমান তালে আক্রমণ চালায় ইংলিশ সীমানায়। আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে জমে ওঠে খেলা। ৩০ মিনিটে দারুণ এক ফ্রি কিক থেকে গোল করে ডেনমার্ককে এগিয়ে নেন মিকের ড্যামসবার্গ। এবারের ইউরোতে কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত অক্ষত থাকা ইংল্যান্ডের জালে বল জড়ালেন ২১ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার।
তবে বেশিক্ষণ লিড ধরে রাখতে পারেনি তারা। গোলের রেশ কাটতে না কাটতেই খেলার ৩৯ মিনিটে প্রতিপক্ষের ভুলেই সমতায় ফেরে ইংল্যান্ড। ডেনিশ অধিনায় সিমোন কায়েরের আত্মঘাতী গোলে স্বস্তি ফেরে ইংলিশ শিবিরে। হ্যারি কেনের কাছ থেকে বল পেয়ে গোলে শট নেন রাহিম স্টার্লিং। বল ঠেকাতে গিয়ে নিজেদের জালে জড়িয়ে দেন ডেনিশ অধিনায়ক।
এরপর ম্যাচের বাকি সময়ে একের পর এক ইংলিশদের আক্রমণ ঠেকাতে ব্যস্ত সময় কাটাতে দেখা যায় ডেনমার্কের রক্ষনভাগকে। তবে ডেনিশ গোলরক্ষক ক্যাসপের স্মাইকেলোর প্রতিরোধের দেয়াল ভাঙ্গতে বারবার ব্যর্থ হয় থ্রি লায়নরা।
খেলার ১০৪ মিনিটে বির্তকিত পেনাল্টির সুবাদে এগিয়ে যায় গ্যারেথ সাউথগেটের দল। ইংলিশ স্ট্রাইকার রাহিম স্টারলিং প্রতিপক্ষের ডিবক্সে পড়ে যাওয়ায় প্রশ্নবিদ্ধ ফাউলের সিদ্ধান্ত দেন রেফারী। হ্যারি কেনের নেওয়া স্পট কিক প্রথমে ক্যাসপার স্মাইকেল ঠেকিয়ে দিলেও ফিরতি বল জালে জড়ান ইংলিশ অধিনায়ক।
বাকি সময়ে কোনো দল গোলের দেখা পায়নি। এতে ডেনমার্কের স্বপ্ন যাত্রা থামিয়ে ৫৫ বছর পর আবারও বড় কোন প্রতিযোগিতার ফাইনালে উঠলো ইংল্যান্ড। শিরোপা জয়ে তাদের প্রতিপক্ষ দুর্দান্ত ছন্দে থাকা ইতালি।