বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জিম্বাবুয়ে সফর নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। জিম্বাবুয়েতে করোনাভাইরাসের প্রকোপ আশঙ্কাজনক হারে বাড়তে থাকায় সেদেশের সরকার সব ধরনের খেলাধুলা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটও (জেডসি) সব ধরনের ক্রিকেটীয় কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই স্থগিতাদেশ কবে উঠবে তা এখনও জানানো হয়নি। একদিনের খেলা শেষ হওয়ার পরও জিম্বাবুয়ে সফরে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকা ‘এ’ দলের চার দিনের ম্যাচ স্থগিত করা হয়েছে।
জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট সরকারের কাছে আবেদন করেছে, সফররত দক্ষিণ আফ্রিকা ‘এ’ দলের চার দিনের ম্যাচটি যেন সম্পন্ন করার অনুমতি দেওয়া হয়। একইসাথে জিম্বাবুয়ের মাটিতে আন্তর্জাতিক যত খেলা আছে সেগুলো আয়োজনের অনুমতি চেয়েও আবেদন করেছে তারা। জিম্বাবুয়ের মাটিতে পরবর্তী আন্তর্জাতিক সিরিজ বাংলাদেশের। জুলাইয়ে তিন ফরম্যাটেই স্বাগতিকদের বিপক্ষে লড়বে টাইগাররা। তবে করোনার প্রকোপ বাড়ায় সরকারের এই সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ দলের জিম্বাবুয়ে সফর নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এফটিপি অনুযায়ী দুটি টেস্ট খেলার কথা থাকলেও দুই দল খেলবে একটি টেস্ট। ৭ জুলাই থেকে বুলাওয়েতে শুরু হবে জিম্বাবুয়ে-বাংলাদেশ একমাত্র টেস্ট। এই ম্যাচ দিয়েই শুরু হবে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ। টেস্ট শেষে দুই দল পাড়ি জমাবে হারারেতে। সেখানে অনুষ্ঠিত হবে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি। কোয়ারেন্টিন নীতিমালা সহজ (১ দিন) হওয়ায় বাংলাদেশের তিন ফরম্যাটের দল পৃথকভাবে যাওয়ার কথা জিম্বাবুয়েতে।
ওয়ানডে সিরিজের তিনটি ম্যাচ ১৬, ১৮ ও ২০ জুলাই এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজের তিনটি ম্যাচ ২৩, ২৫ ও ২৭ জুলাই অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।