উইম্বলডনের দ্বিতীয় দিনেই ছন্দপতন। প্রথম ম্যাচের প্রথম সেটেই বাঁ পায়ে চোট পেয়ে উইম্বলডন থেকে বিদায় নিলেন নারী এককে সাতবারের চ্যাম্পিয়ন ও শেষ দুবারের রানার্সআপ সেরেনা উইলিয়ামস। দুই সেট হেরেও কপাল-জোরে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠলেন আটবারের উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন রজার ফেদেরার।
প্রথম রাউন্ডে ষষ্ঠবাছাই রজার ফেদেরারের খেলা ছিল অবাছাই আদ্রিয়ান মানারিনোর বিরুদ্ধে। প্রথম সেট ৬-৪ ব্যবধানে জেতেন ফেদেরার। এরপরই অঘটনের সম্ভাবনা তৈরি করেছিলেন ফ্রান্সের মানারিনো। পরের দুটি সেট জিতে নেন তিনি ৭-৬ ও ৬-৩ গেমে। চতুর্থ সেট ৬-২-এ জিতে সমতা ফেরান ফেদেরার।
বিশ্বের ৪১ নম্বর মানারিনো ৩৩তম জন্মদিনে খেলছিলেন ফেদেরারের বিপক্ষে। চতুর্থ সেটে ফেদেরার যখন ৪-২-এ এগিয়ে তখন রিটার্নের সময় পা পিছলে ডান পায়ের হাঁটুতে চোট পান মানারিনো। এরপর আর পঞ্চম সেট খেলা সম্ভব হয়নি তাঁর। শীর্ষ বাছাই নোভাক জকোভিচ এবারের উইম্বলডন শুরু করেছিলেন প্রথম সেটে হেরে। তবে পরে সহজ জয় পেয়েছিলেন। কিন্তু প্রথম দিনেই ছিটকে যান সিসিপাস। ফেদেরারও আশঙ্কা কাটিয়ে পৌঁছান দ্বিতীয় রাউন্ডে।
এদিকে, নারী এককের দ্বিতীয় রাউন্ডে ভেনাস উইলিয়ামস পৌঁছালেও ষষ্ঠ বাছাই সেরেনা উইলিয়ামস চোটের কারণে বিদায় নেন। ২৩টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম চ্যাম্পিয়ন সেরেনার প্রথম ম্যাচ চলছিল বেলারুশের আলিয়াকজান্দ্রা সাসনোভিচের সঙ্গে। প্রথম সেট যখন ৩-৩ তখনই চোটের কারণে সরে দাঁড়াতে হয় সেরেনাকে।
পঞ্চম গেমে সার্ভ ছিল সেরেনার, ফোরহ্যান্ড মারার সময় বেসলাইনের কাছে বাঁ পায়ে চোট লাগে। গেম খুইয়ে মেডিক্যাল টাইমআউট নেন সেরেনা। তারপর খেলা চালানোর চেষ্টা চালিয়েও পারেননি। আটকাতে পারেননি চোখের জল। ৩-৩ গেমের পর ১৫-৩০-এ পিছিয়ে থাকা অবস্থায় খেলা ছাড়তে বাধ্য হন সেরেনা। ২০১৬ সালে শেষবার অল ইংল্যান্ড ক্লাবে চ্যাম্পিয়ন হন তিনি।
তবে নারী এককের শীর্ষ বাছাই অ্যাশলে বার্টি দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছেন সরাসরি সেটে দাপুটে এক জয়ে।