পিছিয়ে পড়েও শক্তিশালী আফগানিস্তানের সঙ্গে ১-১ গোল ড্র করে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচে এক পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ল বাংলাদেশ। অবশ্য কাতারের জসিম বিন হামাদ স্টেডিয়ামে, প্রথমার্ধে আফগানিস্তানের আক্রমণ সামলাতে ব্যস্ত ছিল লাল-সবুজের দল। কিন্তু কোনো গোলের দেখা পায়নি। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে জেমি ডে'র শিষ্যরা। পরে খেলা শেষের ৬ মিনিট আগে গোল শোধ করে বাংলাদেশ।
শক্তিশালী আফগানদের বিপক্ষে শুরু থেকে রক্ষণকে প্রাধান্য দিয়ে খেলেছে বাংলাদেশ। যে কারণে আফগানরাও বেশি সুযোগ তৈরি করে। তবে বাংলাদেশের ডিফেন্ডাররা প্রথমার্ধে ভালোভাবেই ঠেকিয়ে রেখেছিলেন আফগানদের। গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোও বেশ কয়েকটি পরীক্ষায় সফলভাবে উৎড়ে যান। ফলে প্রথমার্ধে ০-০ সমতা নিয়েই বিরতিতে যায় দুই দল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। ৪৮ মিনিটের মাথায় ডানদিক থেকে সতীর্থের নিখুঁত ক্রস থেকে কোনাকুনি শটে গোলরক্ষক জিকোকে পরাস্ত করেন আফগানিস্তানের আমিরুদ্দিন মোহাম্মদ আনোয়ার শরীফি।
গোল শোধে মরিয়া বাংলাদেশ বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করে। কিন্তু আফগান রক্ষণপ্রাচীর ভাঙতে পারেনি জামাল ভূইয়ারা। এরই মধ্যে আফগানিস্তানও ব্যবধান বাড়ানোর চেষ্টা করতে থাকে। খেলার ৮০ মিনিটে সমতায় ফেরার সেরা সুযোগটি পেয়েছিল লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। কিন্তু আবদুল্লাহর সামনে থেকে নেয়া জোড়ালো শট আটকে দেন আফগান গোলকিপার।
তবে ৮৪ মিনিটে আর আক্ষেপে পুড়তে হয়নি। রিয়াদুল হাসান রাফির হেড বক্সের একদম মাঝখানে পেয়ে চোখের পলকে চমৎকার ফিনিশিং গোল করেন তপু বর্মণ।
সমতায় ফেরার পর বেশ কয়েকটি গোছানো আক্রমণ করে বাংলাদেশ। ম্যাচের শেষ দশ মিনিটে তাই উত্তেজনাও ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত জয়টা আর পাওয়া হয়নি জামাল ভূঁইয়াদের। ১-১ ড্রয়ের স্বস্তি নিয়েই মাঠ ছেড়েন তারা।
এতে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে ২ পয়েন্ট নিয়ে তলানিতেই থাকল বাংলাদেশ। আগামী ৭ জুন ভারতের মুখোমুখি হবে জেমি ডে'র শিষ্যরা। সবশেষ ম্যাচে ১৫ জুন মুখোমুখি হবে ওমানের।