মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরিতে শ্রীলঙ্কাকে জয়ের জন্য ২৪৭ রানের টার্গেট দিয়েছে বাংলাদেশ। মিরপুরে তিন ম্যাচের সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশ টসে জিতে ব্যাট করে ২৪৬ রানে অলআউট হয় তামিম ইকবালের দল। দলে হয়ে সর্বোচ্চ ১২৫ রান করেন মুশফিকুর রহিম।
প্রথম ওয়ানডেতে লঙ্কানদের হারিয়ে সিরিজে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওয়ানডের আগে শঙ্কা ছিল বৃষ্টির হানার। সেটি মাথায় রেখেই এই ম্যাচেও টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। আগে ব্যাটিং নিয়ে দলকে দারুণ শুরু এনে দেন তামিম। উদানার প্রথম ওভারে ১৫ রান নিয়ে উড়ন্ত শুরু করলেও পরের ওভারের প্রথম বলেই লেগ বিফোরের কারণে সাজঘরে ফেরেন তামিম।
চামিরার বলে বল তামিমের প্যাডে লাগলে আবেদন না করলেও সেই আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। পরবর্তীতে রিভিউ নিলে সাজঘরে ফিরতে হয় তামিমকে। চামিরার ওই ওভারের চতুর্থ বলেই সাকিবকে এলবির ফাঁদে পড়ে কোন রান না করেই সাজঘরে ফিরতে হয় সাকিবকে। এই ম্যাচটি লিটনের জন্য ছিল ভাগ্য নির্ধারণের ম্যাচ। অন্তত সেটি মাথায় রেখেই ভালো বলে শট খেলছিলেন, খারাপ বল ছাড়ছিলেন।
তবে তার ইনিংস থামে দলীয় ৪৯ রানে। সান্দাকানের বলে ব্যক্তিগত ৪২ বলে ২৫ রান করে সাজঘরে ফিরতে হয় তাঁকে। এই ম্যাচে মিঠুনের পরিবর্তে দলে ঢুকেন মোসাদ্দেক। তবে তিনিও তার সামর্থ্যের প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। সান্দাকান্দের লেগ স্ট্যাম্পের বাইরে হোয়াইড বলটি ব্যাটের কানায় লেগে ক্যাচ উঠে উইকেটকিপার কুশলের হাতে।
৭৪ রানে চার উইকেট হারানোর পর প্রথম ম্যাচের মতই দলের হাল ধরার গুরু দায়িত্ব পড়ে মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহর কাঁধে। প্রথম ওয়ানডের মতই বাউন্ডারিতে মনোযোগ না দিয়ে সিঙ্গেল-ডাবলে রান তোলায় বাড়তি মনোযোগ ছিল মুশফিকের। মাহমুদউল্লাহ-মুশফিকে ব্যাটে বড় স্কোরের আশা উঁকি দিচ্ছিল। ব্যক্তিগত ৭০ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করেন মুশফিক।
রিয়াদ-মুশফিকের ৮৭ রানের জুটি ভাঙেন সান্দাকান। দ্রুত বিদায় নেন আফিফ, মিরাজও। মুশফিক যখন ৮৫ রানে অপরাজিত ঠিক তখনি বৃষ্টির বাঁধায় ম্যাচ বন্ধ থাকে কিছুক্ষণ। দ্বিতীয় দফায় যখন বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচ বন্ধ হয় তারপরই ব্যাট হাতে ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি তুলে নেন মুশফিক।
শেষদিকে মুশফিকের ১২৫ রানে ভর করে ২৪৬ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কান বোলাদের মধ্যে ৪৪ রানে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট তুলে নেন দুশমুন্থ চামিরা।