অলিম্পিক গেমস হবে নির্ধারিত সময়েই। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির(আইওসি) সহ-সভাপতি জন কোয়াটেস গতকালই জানিয়েছেন জরুরি অবস্থাতেও অলিম্পিক আয়োজিত হবে। তাঁর সেই মন্তব্যকে যে এতটুকু হালকাভাবে নেওয়ার নেই সেটা বুঝিয়ে দিলেন আইওসি-র প্রধান থমাস বাখ। কোয়াটেসের সুরে সুর মিলিয়ে তিনি জানিয়ে দিলেন জাপানের অধিকাংশ সাধারণ মানুষের বিরোধীতা সত্ত্বেও যথাসময়েই অলিম্পিক শুরু হবে।
হাতে রয়েছে দু’মাসের সামান্য বেশি কিছু সময়। কিন্তু গেমস যত এগিয়ে আসছে টোকিও অলিম্পিক নিয়ে বিরোধীতার সুর চড়াচ্ছে জাপানের চিকিৎসকমহল থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। দেশজুড়ে কোভিড সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের মাঝে গেমস আয়োজনকে অনর্থক বলে দাবি করছে তারা। টোকিও গভর্নরের কাছে ইতিমধ্যেই গেমস বাতিলের দাবিতে দাখিল করা হয়েছে পিটিশন। রয়টার্সের সমীক্ষায় যে তথ্য উঠে এসেছে সেখানে দেখা যাচ্ছে সেদেশের প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ এখনও অলিম্পিক আয়োজনের বিরোধীতা করছেন। বাতিল না হলেও অন্তত পিছিয়ে যাক গেমস, এমনটাই দাবি তাদের।
এমতাবস্থায় আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশনের এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল মাধ্যমে আইওসি প্রধান থমাস বাখ বলেন, 'দুয়ারে কড়া নাড়ছে টোকিও অলিম্পিক, চূড়ান্ত কাউন্টডাউনও শুরু হয়ে গিয়েছে। এই কঠিন সময় আমাদের আরও সহনশীলতার বার্তা পৌঁছে দিতে হবে সাধারণ মানুষের মধ্যে। একতা এবং বৈচিত্র্যের বার্তা শোনাতে হবে। টানেলের শেষে গিয়ে টোকিও ঠিক আলো দেখবেই।'
আয়োজকদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি নিরাপদে গেমস আয়োজনে সক্ষম বলে দাবি করেন বাখ। আইওসি প্রধানের কথায়, 'প্রত্যেকের নিরাপত্তা আমাদের কাছে সর্বাগ্রে প্রাধান্য। গেমসে অংশগ্রহণ করতে আসা ৭০ শতাংশ অ্যাথলিট এবং অফিসিয়ালরা টিকা নিয়ে নিয়েছেন। সংখ্যাটা সময়ের সঙ্গে আরও বাড়বে। জাপানি সহকর্মীদের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করে অ্যাথলিটদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ সুনিশ্চিত করতে হবে আমাদের। তিন টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থার থেকে আমরা টিকাকরণের প্রস্তাবও পেয়েছি।' ব্যাচ আরও বলেন অ্যাথলিটদের অলিম্পিক স্বপ্নপূরণের জন্য প্রত্যেককেই কিছু না কিছু আত্মত্যাগ করতে হবে।
এর আগে শুক্রবার আইওসি সহ-সভাপতি জন কোয়াটেস জানিয়েছিলেন, 'জরুরি অবস্থাতেও গেমস নিশ্চয় হবে। আমরা সম্ভাব্য সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে অ্যাথলিট এবং সাধারণের নিরাপত্তার পরিকল্পনা করে রেখেছি।'