প্যারিস সেন্ট জার্মেইকে ২-০ গোলে হারিয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে উঠেছে ম্যানচেস্টার সিটি। দুই লেগ মিলিয়ে ৪-১ গোলে জিতেছে পেপ গার্দিওলার দল। অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া লাল কার্ড দেখায় শেষ ২০ মিনিট ১০ জন নিয়ে খেলে পিএসজি। এই জয়ে এবারই প্রথম ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে পা রাখলো ম্যানচেস্টার সিটি।
৫১ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটলো ম্যানচেস্টার সিটির। ইউরোপিয়ান ফুটবলের ফাইনালে খেলতেইতো ক্লাব মালিক এতো কাড়ি কাড়ি অর্থ বিনিয়োগ করেন। বলা যায়, স্বপ্নের ফাইনাল। একই সাথে চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলতে না পারার ১০ বছরের আক্ষেপ ঘুচলো পেপ গার্দিওলার।
ম্যাচ শুরুর আগে টিভি পর্দায় সাদা মাঠ দেখে মনে হচ্ছিলো, এ যেনো বরফে ঢাকা সাদা প্রান্তর। যদিও খানিক পরেই পরিস্কার হয়, তা ছিলো শিলাবৃষ্টি। আর সেই সাদাতেই ফুল ফোটালেন রিয়াদ মাহরেজ। খেলার তখন ১১ মিনিট।
কিলিয়ান এমবাপ্পের অনুপস্থিতি পিএসজিকে খর্বশক্তি বানিয়ে দিয়েছিলো। তবু গোল শোধে মরিয়া হয়ে উঠা মরেসিও পচেত্তিনোর দল সমতায় ফেরার সুযোগ পায়। কিন্ত একবার মার্কিনিয়োসের শট ফিরে আসে পোস্টে লেগে, আরেকবার অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়ার শট চলে যায় পোস্ট ঘেঁষে।
পেপ গার্দিওলার বিপক্ষে আগের ১১ সাক্ষাতে কোনবারই জয় পাননি পচেত্তিনো। এবার পিএসজি কোচকে হতাশ করলেন আলজেরিয়ান অধিনায়ক রিয়াদ মাহরেজ।
দ্বিতীয় গোলের ৬ মিনিটের মাথায় অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া লাল কার্ড দেখলে ১০ জনে রুপ নেয় ফরাসি দলটি। এরপর চেপে ধরা ম্যান সিটির একের পর এক সুযোগ নষ্ট হয় কখনও প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক কেইলর নাভাসের দৃঢ়তায়, কখনও ফিল ফোডেন, ডি ব্র“ইনদের ব্যর্থতায়।
এতে টানা দ্বিতীয়বার নেইমারদের শিরোপা জয়ের স্বপ্ন অধরাই রয়ে গেলো। আর ইউরোপিয়ান মুকুট পরার পথে এগিয়ে গেলো ম্যান সিটি।