ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবলের বাছাইয়ের (ই-গ্রুপ) শেষ তিনটি ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল বিমানযোগে কাতারে পৌঁছেছে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) এক বার্তায় জানিয়েছে, বেলা ১১টায় ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে জেমি ডে'র শিষ্যরা দোহায় পৌঁছান স্থানীয় সময় দুপুর সোয়া ১টায়।
বাংলাদেশের বাকি তিন ম্যাচ মাঠে গড়াবে আগামী ৩, ৭ এবং ১৫ জুন। প্রতিপক্ষ যথাক্রমে আফগানিস্তান, ভারত এবং ওমান। এর আগে দোহাতে দু'দিনের বেশি অনুশীলন করার সুযোগ পাবে লাল-সবুজের দল।
৩২ সদস্যের বাংলাদেশ দলে ২৩ ফুটবলার ছাড়াও দলে রয়েছেন ম্যানেজার, প্রধান কোচ, সহকারী কোচ, গোলরক্ষক কোচ, ফিটনেস কোচ, মিডিয়া অফিসার, ডাক্তার, ফিজিও ও টিম এ্যাটেন্ডেন্ট। কাতার পৌঁছে ফুটবলারদের স্বাস্থ্যবিধির আনুষঙ্গিক কাজগুলো করতে হয়। করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ হলেই নির্দিষ্ট সময়ে অনুশীলন মাঠে যাওয়ার অনুমতি পাবেন তারা। দেশ ছাড়ার আগে নিজেদের সেরাটা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়াসহ অন্যরা। তবে লক্ষ্য কী, তা খোলাসা করেননি হেড কোচ জেমি ডে।
এবারের দলে সুযোগ পেয়েছেন ফিনল্যান্ড প্রবাসী ডিফেন্ডার কাজী তারিক রায়হান। তবে দুই ফরোয়ার্ড মাহবুবুর রহমান সুফিল ও মোহাম্মদ ইব্রাহিম করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় দলের সঙ্গে কাতারে যেতে পারেননি।
ঢাকা ছাড়ার আগে অধিনায়ক জামাল বলেন, ‘আমরা কাতার যাচ্ছি বাছাইপর্ব খেলতে। তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ আছে। সবাই দোয়া চাইবেন। আমরা আমাদের সর্বোচ্চটা দিয়ে খেলার চেষ্টা করব। আশা করছি, ভাল কিছু হবে।’ কোচ জেমি বলেন, ‘আমাদের সেখানে (কাতারে) ভাল করতে হলে অনেক ভাল খেলতে হবে। সাধ্যের বাইরে গিয়ে পারফরম্যান্স দেখাতে হবে। তাহলেই হয়তো ভালকিছু হবে। তবে সেখানে লক্ষ্য কী, তা এখনই বলতে চাই না। সেটা আমাদের কোচিং স্টাফ ও খেলোয়াড়দের মধ্যেই থাকুক। সাধারণ জনগণকে এখনই আমরা লক্ষ্যের কথা জানাতে চাই না।’ ডিফেন্ডার তপু বর্মণ বলেন, ‘সবাই উজ্জীবিত আছে। গুরুত্বপূর্ণ খেলা। টিমওয়ার্ক অনুযায়ী খেলব। ভাল পারফরম্যান্স করার চেষ্টা থাকবে। সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করব, যেন ভাল ফল নিয়ে আসতে পারি।’
জাতীয় ফুটবল দল বিদেশে খেলতে যাবার আগে সবসময়ই সংবাদ সম্মেলন করে। কিন্তু এবার ব্যতিক্রম হয়েছে। তারা সেটি করেনি। কাতার যাবার অগে দেশের মাটিতে মাত্র একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে পেরেছে জাতীয় দল।