প্যারিস সেন্ট জার্মেইকে ১-০ গোলে হারালেও উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের আগেই বিদায় নিতে হলো বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখকে। দুই লেগ মিলিয়ে ৩-৩ গোলে সমতায় থাকা লড়াই থেকে অ্যাওয়ে গোলে এগিয়ে থাকা পিএসজি উঠে যায় শেষ চারে। তাতে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হয় জার্মান দলটিকে।
প্রথম ম্যাচে নিজেদের মাঠে ৩-২ গোলে হারের পর কাজটা কঠিনই ছিল বায়ার্ন মিউনিখের। পরের লেগে জিততে হতো ২-০ গোলে। কিন্তু দুটো গোল দেবে কি, প্রথমার্ধের শুরুতে তো নেইমার-কিলিয়ান এমবাপের আক্রমণ সামলেই দিশেহারা ছিল বায়ার্ন। নেইমারের তিনটি শট যদি প্রতিহত না হতো পোস্টে, তাহলে ব্যবধানটা আরও বাড়তেও পারতো পিএসজির।
জোড়া গোল করে পিএসজির প্রথম লেগের নায়ক ছিলেন এমবাপে। দ্বিতীয় লেগেও তার কল্যাণেই ম্যাচে প্রথম আক্রমণে ওঠে ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা। ডান দিক দিয়ে প্রতিপক্ষ বিপদসীমায় আসা ফরাসি ফরোয়ার্ডের শট বেরিয়ে যায় দূরের পোস্ট হয়ে। ২৭ মিনিটে নেইমারও হতাশায় ডোবান পিএসজিকে। প্রতিপক্ষ বক্সে গিয়ে এমবাপে দারুণ এক পাস বাড়ান ফাঁকায় দাঁড়ানো নেইমারকে। তার শট এগিয়ে এসে রুখে দেন ম্যানুয়েল নয়্যার।
এরপর আরও সুযোগ এসেছে নেইমারের সামনে। ৩৪ মিনিটে লুকাস এরনান্দেজকে এড়িয়ে করা তার শটটি নয়্যারকেও ফাঁকি দিয়ে প্রতিহত হয় গোলপোস্টে। এরপরের মিনিট সাতেকে আরও দু’বার গোলবার বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ৩৪ মিনিটে তার চিপ আটকে যায় ক্রসবারে, ৩৬ মিনিটে তাকে গোলবঞ্চিত রাখে গোলপোস্ট।
এরই মাঝে বায়ার্ন পায় তাদের সমতাসূচক গোলটা। গোলটি করেন এরিক ম্যাক্সিম চুপো মোটিং। বিরতির আগে খেলা যে ধারায় চলেছে, একই ধারা অব্যহত ছিল বিরতির পরও। মুহুর্মুহু সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি নেইমার-এমবাপেরা। একবার অবশ্য কাজে লাগিয়েওছিলেন, তবে ৭৮ মিনিটে এমবাপের সে চেষ্টা বিফল হয়েছে অফসাইডের খড়গে।
তাতে ১-০ গোলের হারই নিয়তি হয় পিএসজির। তবে প্রথম লেগে বায়ার্নের মাঠে করা তিন অ্যাওয়ে গোল দলটিকে তুলে দেয় টানা দ্বিতীয় মৌসুমে সেমিফাইনালে। পুরো ম্যাচে আলো ছড়িয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কারটা জেতেন নেইমার।
অন্য ম্যাচে চেলসিও পোর্তোর কাছে হেরেছে ১-০ গোলে। স্পেনের সেভিয়ার নিরপেক্ষ ভেন্যুতে হোম ম্যাচ খেলতে নেমেছিল ব্লুরা। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে একমাত্র গোল করেন মাহদী তারেমি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এটিই কোনো ইরানি খেলোয়াড়ের প্রথম গোল। দ্বিতীয় লেগ হেরেও প্রথম লেগে ২-০ গোলে জেতায় ২-১ গোলের অগ্রগামিতায় শেষ আটের বাধা পেরোয় চেলসি, ২০১৪ সালের পর প্রথমবার চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালে তারা।