সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ১৩ রানে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। আইপিএলে নিজেদের তিন ম্যাচে দ্বিতীয় জয় পেলো রোহিত শর্মার দল। হায়দরাবাদের দুঃসময়ের ব্যাপ্তি বাড়ল আরও এক ম্যাচ। টানা তিন পরাজয়ে এখনও কোনো পয়েন্ট সংগ্রহ করতে পারেিন তারা।
চেন্নাইয়ের চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে মুম্বাইকে লড়াকু পুঁজি এনে দেয় কুইন্টন ডি কক, রোহিত শর্মা ও ম্যাচ সেরা কাইরন পোলার্ডের তিনটি ত্রিশোর্ধ্ব ইনিংস। ডি কক ৪০ করার পথে কিছুটা ধীরগতির হলেও শেষদিকে পোলার্ডের ঝড়ে সেটা পুষিয়ে নেয় শিরোপা ধরে রাখার লক্ষ্যে এবারের আসর শুরু করা মুম্বাই। পোলার্ড ৩৫ এবং রোহিতের ব্যাট থেকে আসে ৩২ রান। তাতে ১৫০ রানের লড়াকু পুজি পায় ৫ উইকেট হারানো মুম্বাই। নিজেদের পরের ম্যাচে রোহিতরা মাঠে নামবেন ২০ এপ্রিল। এই চিদাম্বরম স্টেডিয়ামেই তাদের প্রতিপক্ষ দিল্লি ক্যাপিটালস।
জবাবে জোনাথন বেয়ারস্টোর ঝড়ে অধরা জয়টা ধরা দেবে বলেই মনে হচ্ছিল হায়দরাবাদ ইনিংসের শুরুতে। মাত্র ১৫১ রানের লক্ষ্য। সেটা তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৪৪ বলেই উঠে যায় ৬৭ রান। ২২ বলে ৪২ রান করে ক্রুনাল পান্ডিয়ার বলে হিট উইকেট হয়ে সাজঘরে ফেরেন বেয়ারস্টো।
এরপর মনীশ পান্ডেও এলেন আর গেলেন। তবে অন্যপাশে অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার ছিলেন বলেই হয়তো, আশাটাও জিইয়ে ছিল হায়দরাবাদের। তবে দলীয় ৯০ রানে তিনি ফিরতেই যেন ম্যাচে দারুণভাবে ফিরে আসে রোহিত শর্মার দল। পরের দশটা রান তুলতে হায়দরাবাদ খরচ করল আরও ৪ ওভার, ১৫তম ওভারে হারাল বিরাট সিং আর অভিষেক শর্মাকে। শেষ পাঁচ ওভারে হায়দরাবাদের প্রয়োজন ছিলো ৪৭ রান, হাতে তখনও পাঁচ উইকেট।
ক্রুনালের পরের ওভারে বিজয় শঙ্কর দুটো ছক্কায় তুললেন ১৬, হায়দরাবাদের আশার সলতেয় নিভু নিভু আলোটা তখন জ্বলজ্বলে হয়ে উঠতে শুরু করেছে। সে জ্বলে ওঠাটা অবশ্য স্থায়ী হলো কেবল মিনিট দশেকের মতো সময়। পরের ওভারে এল চার রান। তাতে শেষ তিন ওভারে প্রয়োজনটা দাঁড়ায় ২৭ রানে। ট্রেন্ট বোল্টের পরের ওভারেই সে আশার সলীল সমাধি। এক চারসহ রান দিলেন ছয়টা, উইকেট গেল আবদুল সামাদ আর রশিদ খানের। যশপ্রীত বুমরাহর পরের ওভারে গেলেন বিজয় শঙ্করও।
শেষ ওভারে দুটো উইকেট তুলে জয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারেন ট্রেন্ট বোল্ট। ১৩৭ রানে অলআউট হয় হায়দরাবাদ। তাতে ১৩ রানের জয়ে টানা দুই ম্যাচ জিতলো মুম্বাই।