পাঞ্জাব কিংস’কে ৬ উইকেটে হারিয়ে চলতি আইপিএলে দ্বিতীয় জয় তুলে নিল দিল্লি ক্যাপিটালস। ঋষভ পান্টের দলের জয়ে প্রথম ম্যাচের পর তৃতীয় ম্যাচেও জ্বলে উঠল শিখর ধাওয়ানের ব্যাট। মূলত ‘গব্বরে’র ৪৯ বলে বিধ্বংসী ৯২ রানের ইনিংসে ভর করেই ১০ বল বাকি থাকতে ১৯৬ রানের লক্ষ্য পেরিয়ে যায় দিল্লি ক্যাপটালস।
ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টস জিতে রান তাড়ার করার পথেই হেঁটেছিলেন দিল্লি অধিনায়ক ঋষভ। এই পিচে বড় রানের স্কোর করতে না পারলে জয় পাওয়া সহজ হবে না জেনে শুরু থেকেই দিল্লি বোলারদের আক্রমণের পথ বেছে নেন দুই পাঞ্জাব ওপেনার লোকেশ রাহুল এবং মায়াঙ্ক আগারওয়াল। তবে অধিনায়কের তুলনায় দিল্লি বোলারদের প্রতি অনেক বেশি নির্দয় প্রথম দু’ম্যাচে রান না পাওয়া মায়াঙ্ক।
ওপেনিং জুটিতে ১২২ রান তুলে দলকে রানের পাহাড়ে চড়ার রাস্তা করে দেন রাহুল-মায়াঙ্ক। মাত্র ৩৬ বলে ৬৮ রান করে আউট হন মায়াঙ্ক। ফিফটি করে আউট হন রাহুল। ৭টি চার এবং ৩টি ছয়ে সাজানো ছিল পাঞ্জাব অধিনায়কের ইনিংস। গেইল (১১) এবং নিকোলাস পুরান (৯) রান না পেলেও শেষদিকে দীপক হুডা এবং শাহরুখ খানের ঝোড়ো ব্যাটিং ৪ উইকেট হারানো পাঞ্জাবকে ১৯৫ রানে পৌঁছে দেয়।
জবাবে দুই ওপেনারের ব্যাটে শুরুটা আক্রমণাত্মক করে দিল্লিও। কিন্তু ১৭ বলে ৩২ রান করে ফিরে যান পৃথ্বী শ'। তবে থামানো যায়নি ধাওয়ানকে। স্টিভ স্মিথকে সঙ্গে নিয়ে ক্রিজে ঝড় তোলেন ‘গব্বর’। নয়া ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে অভিষেক ম্যাচে স্মিথ (৯) সফল না হলেও ধাওয়ানের ব্যাটে রানের গতি স্লথ হয়নি দিল্লির। স্মিথকে ফেরান মেরেডিথ। ধাওয়ান-স্মিথের জুটিতে ওঠে ৪৮ রান। এরপর নিশ্চিত শতরানের দিকে এগিয়ে চলা ধাওয়ান আবারও মিস করেন। ১৩টি চার এবং ২টি ছয়ে ৪৯ বলে ৯২ রানে ডাগ-আউটে ফেরেন তিনি। দলের রান তখন ১৪.৫ ওভারে ৩ উইকেটে ১৫২।
এরপর অধিনায়ক পান্ট ১৬ বলে ১৫ করে ফিরলেও জয় আটকায়নি দিল্লির। কারণ, ১৩ বলে মাত্র ২৭ রান করে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন মার্কাস স্টোইনিস। ৬ বলে ১২ রানে অপরাজিত থাকেন ললিত যাদব। ১০ বল বাকি থাকতে মাত্র ৪ উইকেট হারিয়ে দাপুটে জয় তুলে নেয় দিল্লি। অন্যদিকে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে হারল পাঞ্জাব।