বড় লক্ষ্য তাড়া করার চ্যালেঞ্জ ছিল কলকাতা নাইট রাইডার্সের। কিন্তু চেন্নাই সুপার কিংসের পেসার দীপক চাহারের সামনে দিশেহারা হয়ে পড়ে তারা। ৩১ রানে ৫ উইকেট খোয়ানোর পরও দীনেশ কার্তিক, আন্দ্রে রাসেল আর প্যাট কামিন্সের চললো প্রাণপণ লড়াই। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। ২২১ রান তাড়া করতে গিয়ে ২০২ রানে অলআউট কলকাতা। তাতে ১৮ রানে জয় পায় মহেন্দ্র সিং ধোনীর দল। আইপিএলের চলতি আসরে চেন্নাইয়ের এটি টানা তৃতীয় জয়। ৪ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে এগিয়ে থাকায় পয়েন্ট তালিকার শীর্ষেও এখন তারা।
মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ২২১ রানে জয়ের টার্গেটে নামা কলকাতার বিপক্ষে শুরুতেই সুইংয়ের পসরা সাজিয়ে ছারখার করে দেন দীপক চাহার। পাওয়ার প্লেতে ৩ ওভার ৪ উইকেট তুলে নেন তিনি। একে একে তার শিকার হন শুবমান গিল, নিতিশ রানা, মর্গান ও সুনীল নারিন। এরপর রাহুল ত্রিপাঠিকে সাজঘরে পাঠান লুঙ্গি এনগিডি।
চেন্নাইয়ের জয় কেবল সময়ের ব্যাপার বলে মনে হচ্ছিল তখন। কিন্তু গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা ক্রিকেট, পাল্টা আক্রমণে ষষ্ঠ উইকেটে ৩৯ বলে ৮১ রানের জুটি গড়েন কার্তিক ও রাসেল। ম্যাচে তৈরি হয় ভীষণ রোমাঞ্চ। ২২ বলে ৫৪ রান করা রাসেলকে থামান স্যাম কুরান। আর ২৪ বলে ৪০ রানের ঝড় তোলা কার্তিক, এনগিডির শিকার হন।
হাতে ৩ উইকেট নিয়ে ৫ ওভারে চাই ৭৫ রান। কলকাতার ঘুরে দাঁড়ানো সেখানেই শেষ- এই ভাবনা টেকেনি বেশিক্ষণ। ১৬তম ওভারে কুরানকে পিটিয়ে ৩০ রান আদায় করে চমকে দেন কামিন্স। তার কল্যাণে কলকাতা ফেরে প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। অপরপ্রান্তে উইকেট পতনের ধারা থাকে অব্যাহত। ফলে শেষ ওভারে ১ উইকেট নিয়ে নাইটদের দরকার পড়ে ২০ রান। তবে শার্দুল ঠাকুরের প্রথম ডেলিভারিতে ডাবল নিতে গিয়ে রানআউট হন শেষ ব্যাটসম্যান প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা। কষ্টার্জিত জয়ের উল্লাসে মাতে চেন্নাই।
আটে নামা কামিন্স ৩৪ বলে ৬৬ রানে অপরাজিত থাকেন। চাহার ২৯ রানে নেন ৪ উইকেট। এনগিডি ৩ উইকেট পান ২৮ রানে। রাসেলকে আটকালেও কুরানের ওপর দিয়ে ঝড়। ৪ ওভারে তার খরচা ৫৮ রান।
রান উৎসবের ম্যাচে এর আগে কলকাতার বোলারদেরও খেতে হয় বেদম মার। ম্যাচ সেরা ওপেনার ফ্যাফ ডু প্লেসি শেষ পর্যন্ত খেলে অপরাজিত থাকেন ৬০ বলে ৯৫ রানে। তার ইনিংসে ছিল ৯ চার ও ৪ ছক্কা। আরেক ওপেনার ঋতুরাজ গায়কোয়াড় ৪২ বলে করেন ৬৪ রান। মঈন আলীর ব্যাট থেকে আসে ১২ বলে ২৫ রান। চারে উঠে আসা ধোনি খেলেন ৮ বলে ১৭ রানের মারকুটে ইনিংস।
এই ম্যাচে কলকাতার একাদশ থেকে বাদ পড়েন বাংলাদেশের তারকা সাকিব আল হাসান। তার পরিবর্তে জায়গা পাওয়া নারিন ছিলেন অনুজ্জ্বল। বল হাতে ৪ ওভারে ৩৪ রানে ১ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতে ৩ বলে ৪ রানে আউট হন তিনি।