দক্ষিণ আফ্রিকার টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট ডেভিড মিলার। খেললেনও দুর্দান্ত। ১৪৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে একাই করলেন ৬২ রান। যে কারণে বাকি ব্যাটসম্যানরা সেভাবে রান না পেলেও জয় হাতছাড়া হয়নি রাজস্থান রয়্যালসের। তবে রাজস্থানের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় ক্রিস মরিসকেই জয়ের নায়ক মানতে হবে। শেষদিকে তার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে এবারের আইপিএলে প্রথম জয়ের স্বাদ নেয় রাজস্থান। তার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে দিল্লি ক্যাপিটালসকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে মুস্তাফিজের দল।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে রাজস্থানের দুই পেসার উনাদকাত ও মুস্তাফিজের তোপে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৮ রান সংগ্রহ করে দিল্লি। দিল্লির ইনিংসে সর্বোচ্চ রান আসে অধিনায়ক ঋষভ পান্টের ব্যাট থেকে। ৩২ বলে ৫১ রান করেন এই তরুণ উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান।
আইপিএলের মতো জমজমাট আসরে ১৪৯ রানের লক্ষ্য তেমন একটা বড় নয়। হেসেখেলেই তা পার করে দেওয়া সম্ভব। কিন্তু এমন সহজ লক্ষ্য পার করতে শেষ ওভার পর্যন্ত বেগ পেতে হয়েছে রাজস্থানের। খরচও হয় ৭ উইকেট। সহজ ম্যাচকে প্রতিযোগিতাপূর্ণ করার কারিগর দিল্লির ৩ পেসার ওকস, রাবাদা আর আভেশ খান। শুরুতে রাজস্থানের টপঅর্ডারকে ধসিয়ে দেন এই তিন পেসার।
দশম ওভারের শুরুতেই প্রথম সারির ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে রাজস্থান। দলের স্কোরে রান তখন মাত্র ৪২। প্রথমে দুই ওপেনার জস বাটলার ও মানান ভোহরা এবং অধিনায়ক আউট হন ২, ৯ ও ৪ রানে। দুই ওপেনারকে ফেরান ক্রিস ওকস আর সঞ্জুর গুরুত্বপূর্ণ উইকেটটি নেন কাগিসো রাবাদা। শিভাম দুবে ও রিয়ান পরাগ দুজনেই মাত্র ২ রান করে আউট হন। তাদের উইকেট দুটি নেন আভেশ খান।
এমতাবস্থায় মিলারের সঙ্গে ছোট ছোট জুটি গড়েন রাহুল তিওয়াতিয়া ও ক্রিস মরিস। ১৭ বলে ১৯ রান করে রাহুল সাজঘরে ফেরেন ক্যারিবীয় পেসার রাবাদার বলে।
এমন পরিস্থিতিতে ১৫তম ওভারে হাত খুলে খেলেন মিলার। আভেশ খানের ওই ওভারটিতে পর পর দুটি ছক্কা হাঁকান মিলার। হ্যাটট্রিক ছক্কার আসায় পরের বলে উড়িয়ে মারলে লংঅনের ললিত যাদবের ক্যাচে পরিণত হন মিলার। ৪৩ বলে ৭ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কার মারে ৬২ রান করেন মিলার।
মিলারের আউটের পরে দুর্দান্ত এক ঝড়ো ইনিংস খেলেন ক্রিস মরিস। ১৯তম ওভারে রাবাদাকে ২ ছক্কা হাঁকান মরিস। ওই ওভারে ১৫ রান তোলেন মরিস। ফলে শেষ ওভারে জয়ের জন্য রাজস্থানের প্রয়োজন পড়ে ১৩ রানের। টম ক্যারানের ওই ওভারেও দুর্দান্ত দুই ছক্কা হাকিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন ক্রিস মরিস। ২ বল বাকি থাকতেই ৭ উইকেটে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় রাজস্থান।