কাতালানদের সোনালী অতীতের প্রধান কুশীলব লাপোর্তা। এই বিষয়টিই অন্য দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ভিক্টর ফন্ট আর টনি ফ্রেইক্সা থেকেও এগিয়ে রেখেছিল তাকে। সোনালি দিন ফেরানোর আশা নিয়ে বার্সেলোনা সদস্যরা সেই হুয়ান লাপোর্তাকেই বেছে নিয়েছেন সভাপতি হিসেবে।
স্থানীয় সময় রোববার বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে সভাপতি পদের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। বার্সেলোনার ১৪তম নির্বাচনে ফন্ট আর ফ্রেইক্সাকে হারিয়ে সভাপতি হয়েছেন লাপোর্তা। ২০০৩ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত বার্সেলোনার দায়িত্বে থাকা কাতালান এই আইনজীবী পুনরায় ক্লাবের মসনদে ফিরেছেন ৫৪.২৮ শতাংশ ভোট নিয়ে। তার প্রাপ্ত ভোটসংখ্যা ৩০,১৮৪। দৈব দুর্বিপাক না ঘটলে নতুন মেয়াদে তিনি থাকবেন ২০২৬ সাল পর্যন্ত। বার্সেলোনা ইতিহাসের ৪২তম সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হলেন তিনি।
সভাপতিত্বের দৌড়ে নামার জন্য যে প্রয়োজনীয় ভোট প্রয়োজন ছিল তার, সেখানে তিনি পেয়েছিলেন ৯২৬৫ ভোট। অন্য দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ফন্ট আর ফ্রেইক্সা পেয়েছিলেন ৪৪৩১ আর ২৬৩৪ ভোট। ২০০৩ সালের নির্বাচনে যখন তিনি নির্বাচিত হয়েছিলেন, সেবার পেয়েছিলেন ৫২.৬ শতাংশ ভোট। তার পক্ষে রায় দিয়েছিল ২৭১৩৮ বার্সা সদস্য। নিজের রেকর্ডটাই রোববার ভেঙেছেন লাপোর্তা।
নির্বাচন গত ২৪ জানুয়ারি হওয়ার কথা থাকলেও করোনাভাইরাসের কারণে তা পিছিয়ে যায়। অবশেষে গত ৭ মার্চ অনুষ্ঠিত হয় নির্বাচনটি। স্পেনে করোনা মহামারীর কারণে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ছয়টি ভিন্ন স্থানে ভোট দেওয়ার পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়, ডাকযোগেও ভোট পাঠানোর ব্যবস্থা রাখা হয়। ক্লাবের প্রায় ১৭ শতাংশ সদস্য এর সুযোগটা নিয়েছেন, ডাকযোগে ভোট পাঠিয়েছেন প্রায় বিশ হাজার সদস্য।
নবনির্বাচিত বার্সেলোনা সভাপতি আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে দায়িত্ব বুঝে নেবেন। নতুন করে যখন দায়িত্ব নেবেন তখন বড়সড় কিছু চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করবে তার সামনে। অর্থনৈতিক দুর্দশা কাটিয়ে ওঠা, দলগঠন, আর অধিনায়ক লিওনেল মেসিকে নতুন ক্রীড়া প্রকল্প দেখিয়ে ক্লাবে রাখাটাও নিশ্চিত করতে হবে তাকে।