নিউজিল্যান্ড সফরকে সামনে রেখে প্রথম ধাপে করোনাভাইরাসের টিকা নিলেন জাতীয় দলের ২৩ ক্রিকেটার। বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল টিকা নেওয়া শেষে জানান, এতো দ্রুত টিকা পেয়ে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছেন তিনি।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি আগেই করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছিলেন। এবার সেই পথে হাঁটলেন ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফরা। বৃহস্পতিবার মোট ২৩ জন করোনার টিকা গ্রহণ করেন। সৌম্য সরকারকে টিকা দেওয়ার মাধ্যমে ক্রিকেটারদের ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম শুরু হয়।
ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে স্বাস্থ্য সেবিকা রুনু ভেরোনিকাকে টিকা দেওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশে করোনার ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। একই হাসপাতালে এবার সস্ত্রীক টিকা নিলেন ক্রিকেটার এবং ক্রিকেট দলের কোচিং স্টাফরা। সুরক্ষা অ্যাপ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানান, নিউজিল্যান্ড সফরকে সামনে রেখে ক্রিকেটারদের মধ্যে এই ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম।
'আমি গতকাল অন্যান্য খেলোয়াড়দের সঙ্গে বসেছিলাম, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা সবাই টিকা নেবে। ফুল কোচিং স্টাফ যারা যাচ্ছেন, তাদেরও টিকা দেওয়া হবে।'
টিকা গ্রহণের পর জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম জানান, এতো দ্রুত টিকা পেয়ে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছেন তিনি। টিকা নেওয়ার আগে কিছুটা ভয় ছিল জানিয়ে তামিম বলেন, বিষয়টি জানার চেষ্টা করলে, কারও সাহায্যে বোঝার চেষ্টা করলে আর ভয় থাকে না। 'এখানে আমার অভিজ্ঞতাটা খুব ভালো ছিল। শুধু আমার না, বন্ধু, পরিবারের সদস্য যারা নিজে থেকে রেজিস্ট্রেশন করে টিকা নিয়েছেন, তাদেরও টিকা দেওয়ার প্রসেসটা খুবই ভালো ছিল।'
২০ ফেব্রুয়ারি আবারও ক্রিকেটারদের টিকা দেওয়া হবে। কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে সেদিন টিকা নেবেন আরও ৮ ক্রিকেটার।