হারের হতাশা ভুলে আবারও ঘুরে দাঁড়াল পিএসজি। দলের প্রধান তারকা নেইমারের অনুপস্থিতিতে দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন কিলিয়ান এমবাপে। নেইমারের অভাব বুঝতে না-দিয়ে জোড়া গোল করে দলকে বড় ব্যবধানে জেতালেন তরুণ এই ফরাসি তারকা। লিগ ওয়ানে পয়েন্টে তালিকায় তলার দিকে থাকা ডিজোঁকে ৪-০ গোলে হারাল পিএসজি। ফরাসি জায়ান্টের হয়ে বাকি দু’টি গোল করেন ময়েস কিন আর পেরেইরা।
এই জয়ে লিগের পয়েন্ট তালিকায় দুই নম্বরে উঠেছে মাওরিসিও পচেত্তিনোর দল। দু’ দলের প্রথম দেখায় গত অক্টোবরে ঘরের মাঠেও একই ব্যবধানে জিতেছিল পিএসজি। জয়ের পর পচেত্তিনো বলেন, ‘আমি অত্যন্ত গর্বিত৷ আমরা অত্যন্ত পেশাদার দল। এখন আমাদের জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।’ লিগের মাঝপথে পিএসজি-র দায়িত্ব নিয়েছেন পচেত্তিনো। দায়িত্ব নিয়ে ১০টি ম্যাচের মধ্যে দলকে সাতটি জয় এনেদিয়েছেন তিনি। হেরেছেন মাত্র দু’টি ম্যাচে।
আগের রাউন্ডে মোনাকোর বিরুদ্ধে ০-২ গোলে হেরেছিল প্যারিসের দলটি। কিন্তু এদিন ম্যাচের শুরু থেকে ডিজোঁকে চেপে ধরে পিএসজি। গোলের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি তাদের। ৬ মিনিটেই গোল করে দলকে এগিয়ে দেন কিন। ডি-বক্সে দিয়ালার পাস থেকে গোল করেন ইতালিয়ান ফরোয়ার্ড। ৩২ মিনিটে সফল স্পট-কিক থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এমবাপে। এরপর ৫১ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন তরুণ ফরাসি তারকা। আর শেষ দিকে পেরেইরার গোলে ৪-০ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়নরা।
প্রথমার্ধে ২-০ এগিয়ে থেকে মাঠ ছাড়ে পিএসজি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ব্যবধান বাড়ান এমবাপে। ষষ্ঠ মিনিটে স্কোরলাইন ৩-০ করেন তিনি। রাফিনিয়ার পাস থেকে বাঁ-পায়ের শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন বিশ্বকাপ জয়ী ফরাসি ফুটবলার। ৭৪ মিনিটে আরও একবার বল জালে পাঠান ড্রাক্সলার। কিন্তু অফ-সাইডের পতাকা তোলেন লাইন্সম্যান। তবে ৮২ মিনিটে দানিলোর গোলে বড় ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করে পিএসজি।
এই জয়ের ফলে ২৭ ম্যাচে ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল পিএসজি। ২৬ ম্যাচে ১ পয়েন্ট বেশি নিয়ে শীর্ষে রয়েছে লিলে। আর সংসখ্যক ম্যাচে ৫৫ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে রয়েছে লিঁও।