বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজটি বিশ্বকাপ সুপার লিগের অংশ হওয়ায় এটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রধান কোচ ফিল সিমন্স। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জনের জন্য বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের জন্য মুখিয়ে আছেন তিনি। এখানে পয়েন্ট হারালে লক্ষ্য পূরণে বাধাগ্রস্থ হবে বলে মনে করেন সিমন্স।
দলের অনুশীলন শেষে সিমন্স বলেন, ‘এটি মহাগুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় কারণ সিরিজটি জিততে হবে। আমরা আর কোন প্লে-অফে খেলতে চাই না। আমাদের ভালো শুরুর প্রয়োজন।’ করোনাভীতি ও ব্যক্তিগত কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম সারির ১২ জন খেলোয়াড় বাংলাদেশ সফরে আসেনি। তবে আন্ডারডগ হবার পরও সিরিজে ভালো করতে আগ্রহী সিমন্স।
২০১৮ সালে পুরো শক্তির দল নিয়েও বাংলাদেশ সফরে অনেক কাঠ-খড় পোড়াতে হয়েছিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ ও তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতেছিলো টাইগাররা। তবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর বাংলাদেশের সাথে চারটি ওয়ানডে খেলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আয়ারল্যান্ডের ত্রিদেশীয় সিরিজে তিনবার ও ২০১৯ বিশ্বকাপে একবার। চারবারই বাংলাদেশের কাছে বাজেভাবে হারে ক্যারিবীয়রা।
গেল সিরিজে বাংলাদেশের চার স্পিনারের কাছে কুপোকাত হয়েছিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এবারও প্রতিপক্ষের স্পিনাররা বেকাদায় ফেলবে তার দলকে, বলে মনে করেন সিমন্স।
তিনি বলেন, ‘তাদের এখনো চারজন প্রধান স্পিনার রয়েছে। তবে তারা দু’জন বা তিনজন পেসার খেলাতে পারে। কিছুটা পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। এর অর্থ, আমরা ভালো খেলতে আরও ভালো ব্যাটিং উইকেট পেতে পারি। আপনি কখনো এটি জানেন না। তবে এটি ভালো ব্যাপার হতে পারে, তবে চার স্পিনার এখানে থাকবে।’
এ ব্যাপারে সিমন্স আরও বলেন, ‘আমি আশা করছি, তারা চার বা পাঁচ স্পিনার খেলালেও, এটি আমাদের হাতে চলে আসবে এবং আমরা এটি সর্ম্পকে কিভাবে ভাববো সেটাই ভূমিকা পালন করবে। আমরা নিজেদের আন্ডারডগ বলে মনে করি। তাই আমি আশা করি এটিই আমাদের এগিয়ে রাখবে।’
দুই বছর পর দলে ফেরা জেসন মোহাম্মদের উপর পূর্ণ আস্থা রাখছেন সিমন্স। এই সিরিজে দলের নেতৃত্বও দিবেন তিনি। কারণ সফর থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন নিয়মিত অধিনায়ক কাইরন পোলার্ড। মোহাম্মদকে ‘ভালো ক্রিকেট মস্তিস্ক’ বলে অভিহিত করে সিমন্স বলেন, দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিবে সে। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, তার ভালো ক্রিকেট মস্তিস্ক আছে। সে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বেশ কয়েকটি বয়সভিত্তিক দলের অধিনায়ক ছিল এবং ইতোমধ্যে ত্রিনিদাদের অধিনায়কত্বও করেছে। তার সেই ক্ষমতা ও সামর্থ্য আছে। সে সামনে দলকে নেতৃত্ব দিবে আমি প্রত্যাশা করছি।’
সিরিজে আন্ডারডগ থাকার পরও, নতুন ক্রিকেটাররা নিজেদের প্রমান করতে মুখিয়ে থাকবে বলেও মন্তব্য করেন সিমন্স। সিমন্স বলেন, ‘তারা সকলে আমাকে মুগ্ধ করেছে। তাদের সকলের চোখে সেই ক্ষুধা রয়েছে। আমরা যা বলি সকলে তা করার চেষ্টা করছে। তারা কঠোর পরিশ্রম করে। তারা সকলেই আমাকে মুগ্ধ করেছে।’
আগামীকাল বিকেএসপিতে নিজেদের মধ্যে অনুশীলন ম্যাচ খেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপরই ওয়ানডে সিরিজের জন্য দল নির্বাচন করা হবে বলে জানান সিমন্স।
তিনি বলেন, ‘আমরা দল চূড়ান্তের কাছাকাছি, তবে অনুশীলন ম্যাচটি উপকার করবে। এটি থেকে বুঝতে পারব আমাদের কি দরকার। ম্যাচের পরিস্থিতি কি হয়, সে সর্ম্পকে আমাদের ধারনা দিবে। তাই কালই চূড়ান্ত হবে দল।’