দ্বিতীয় ও শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে মাহমুদুল্লাহ একাদশকে ৮ উইকেটে হারিয়ে ১-১-এ সমতা আনল তামিম ইকবাল একাদশ। ২২৪ রানে জয়ের টার্গেট ৫৮ বল আর ৮ উইকেট হাতে রেখেই ছুয়ে ফেলে তামিমের দল।
২২৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন তামিম ও লিটন। উদ্বোধনী জুটিতেই দুজনে যোগ করেন ৭৭ রান। ৫৩ বলে ৪৮ রান করে লিটন বিদায় নিলে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। লিটনের বিদায়ের পর তামিমের সাথে দলের হাল ধরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। মাহমুদউল্লাহ একাদশের বোলারদের উপর চড়াও হয়ে খেলতে থাকেন তিনি। তামিম-শান্ত গড়েন ১১৯ রানের পার্টনারশিপ। ৭টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫১ বলে ৬১ রান করে সাজঘরে ফেরেন শান্ত।
তামিম হাটছিলেন শতকের পথে। তবে ৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৮০ বলে ৮০ রান করে রিটায়ার্ড হার্ট হিসেবে মাঠ ছাড়েন দলের অন্যদের ব্যাটিংয়ের সুযোগ করে দিতে। তামিম স্বেচ্ছায় মাঠ ছাড়ার পর দলকে জয়ের ঠিকানায় পৌঁছে দেন মোহাম্মদ মিঠুন ও সৌম্য সরকার। মিঠুন ১৭ ও সৌম্য ১২ রান করে অপরাজিত থাকেন। মাহমুদউল্লাহ একাদশের পক্ষে উইকেট দুটি শিকার করেন তাসকিন আহমেদ ও হাসান মাহমুদ।
এরআগে সকালে রান খরা কাটলো দেশ সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের। ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিপক্ষে সিরিজের আগে দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ একাদশের হয়ে ৫২ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে এটাই তাঁর প্রথম হাফ সেঞ্চুরি। সঙ্গে বাঁহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান নাইম শেখও খেলেন ৫০ রানের ঝলমলে এক ইনিংস।
প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচ ৪০ ওভারের হলেও দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচ গড়ায় ৪৫ ওভারে। আগে ব্যাট করতে নেমে মাহমুদউল্লাহ একাদশ নির্ধারিত ৪৫ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ২২৩ রান সংগ্রহ করে। নাইম ও ইয়াসির আলি রাব্বির উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৪৫ রান।
এরপর সাকিব আল হাসানের সাথে ৫০ রান যোগের পর, ব্যক্তিগত ৫০ রানে সাজঘরে ফেরেন উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান নাঈম শেখ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন সাকিব আল হাসান। ৮২ বলে ১ ছক্কা ও ১ বাউন্ডারিতে এই রান করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে ২২৩ রান তোলে মাহমুমুল্লাহর দল।
তামিম ইকবাল একাদশের বোলারদের মধ্যে সাইফ উদ্দিন ও মেহেদী হাসান ২টি করে উইকেট তুলে নেন। মুস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন ও নাসুম আহমেদ একটি করে উইকেট নেন।