ইংল্যান্ডের অফ-স্পিনার ডম বেসের ঘুর্ণিতে গল টেস্টের প্রথম দিনই ১৩৫ রানে গুটিয়ে গেছে স্বাগতিক শ্রীলংকার প্রথম ইনিংস। ৩০ রানে ৫ উইকেট নেন বেস। জবাবে দিন শেষে ২ উইকেটে ১২৭ রান তোলে ইংল্যান্ড। ৮ উইকেট হাতে নিয়ে এখন মাত্র ৮ রানে পিছিয়ে আছে ইংলিশরা।
সিরিজের প্রথম টেস্ট শুরুর আগেই ধাক্কা খায় শ্রীলংকা। অনুশীলনে আঙ্গুলে চিড় ধরায় একাদশ থেকে ছিটকে যান অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে। টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে স্টুয়ার্ট ব্রডের জোড়া আঘাতে ব্যাটফুটে শ্রীলংকা। ওপেনার লাহিরু থিরিমান্নেকে ৪ ও কুশল মেন্ডিসকে খালি হাতে বিদায় দেন ব্রড।
ব্রডের সাথে তাল মিলিয়ে শ্রীলংকার বিপদ আরও বাড়িয়ে দেন বেস। আরেক ওপেনার কুশল পেরেরাকে ২০ রানে শিকার করেন তিনি। ফলে ২৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে শ্রীলংকা।
এ অবস্থায় শ্রীলংকাকে চাপমুক্ত করার চেষ্টা করেন সাবেক অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ ও ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক দিনেশ চান্ডিমাল। সফলতার পথেই হাটচ্ছিলেন তারা। তবে ম্যাথুজ-চান্ডিমাল জুটি ভেঙ্গে ইংল্যান্ডকে ব্রেকথ্রু এনে দেন ব্রড। ১টি করে চার-ছক্কায় ৫৪ বলে ২৭ রান করা ম্যাথুজকে তুলে নেন ব্রড। চতুর্থ উইকেটে ১১৩ বলে ৫৬ রানের জুটি গড়েন তারা।
২৯তম ওভারের শেষ বল ও দলীয় ৮১ রানে ফিরেন ম্যাথুজ। পরের ওভারে দলীয় ঐ একই রানে চান্ডিমালের বিদায় নিশ্চিত করেন আরেক স্পিনার বাঁ-হাতি জ্যাক লিচ। ১টি চারে ৭১ বলে ২৮ রান করেন চান্ডিমাল। ফলে ৮১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে আবারো চাপে অনুভব করে শ্রীলংকা।
এরপর উইকেটরক্ষক নিরোশান ডিকবেলা ও দাসুন শানাকা পরিস্থিতি সামলে উঠার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু বেশি দূর যেতে পারেননি তারা। ৫৩ বলে ২৪ রান করে এ জুটি। ডিকবেলাকে ১২ রানে শিকার করেন বেস।
শানাকাকেও শিকার করেন বেস। ৩টি চারে ৪৮ বলে ২৩ রান করেন শানাকা। দলীয় ১২৬ রানে সপ্তম ব্যাটসম্যান শানাকার আউটের পর দ্রুতই গুটিয়ে যায় শ্রীলংকা। বাকী ৩ উইকেটে মাত্র ৯ রান যোগ করতে পারে তারা। দিলরুয়ান পেরেরা শুণ্য হাতে বেসের শিকার হন। লাসিথ এম্বুলদেনিয়া খাতা খোলার আগেই রান আউট হন।
আট নম্বরে নেমে নামা রোশন সিলভাকে ১৯ রানে আউট করে ইনিংসে পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেন বেস। ১১ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মত পাঁচ উইকেট নেন বেস। ইনিংসে তার বোলিং ফিগার ১০ দশমিক ১ ওভারে ৩০ রানে ৫ উইকেট । ৯ ওভারে ২০ ওভারে ৩ উইকেট নেন ব্র্রড।
চা-বিরতির আগে নিজেদের ইনিংস শুরু করে শুরুতে বিপদে পড়ে ইংল্যান্ডও। ১৭ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারায় সফরকারীরা। জ্যাক ক্রলি ৯ ও ডম সিবলি ৪ রান করে বাঁ-হাতি স্পিনার এম্বুলদেনিয়ার শিকার হন।
এরপর দায়িত্ব নিয়ে খেলে দিনের শেষ সেশনে আর কোন উইকেট পতন হতে দেননি জনি বেয়ারস্টো ও অধিনায়ক জো রুট। তৃতীয় উইকেটে ১৯৪ বলে অবিচ্ছিন্ন ১১০ রান যোগ করেন বেয়ারস্টো ও রুট।
বেয়ারস্টো ৯০ বলে ২টি চারে অপরাজিত ৪৭ এবং ৫টি চারে ১১৫ বলে ৬৬ রানে অপরাজিত আছেন রুট। এম্বুলদেনিয়া ৫৫ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন।