দুর্দান্ত লড়াইয়ে পর সিডনি টেস্ট ড্র করল ভারত। রাহুল দ্রাবিড়ের জন্মদিনে ‘ওয়াল’ হয়ে অস্ট্রেলিয়ার জয় আর ভারতের পরাজয়ের মাঝে অটল রইলেন হনুমা বিহারি এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এই ড্র ক্রিকেটমহলে ভারতের জয়েরই সামিল।
জেতার জন্য চতুর্থ ইনিংসে ভারতকে করতে হত ৪০৭ রান। পঞ্চম দিনের শেষে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ভারত তুলল ৩৩৪। পাঁচ নম্বরে নেমে ঋষভ পান্টের আক্রমণাত্মক ৯৭ রানের ইনিংস অবশ্য জয়ের আশা জাগিয়ে তুলেছিল। সকালে অধিনায়ক রাহানে (৪) দ্রুত ফেরার পর পান্টকে ব্যাটিং অর্ডারে তুলে আনা অবশ্যই টিম ম্যানেজমেন্টের মাস্টারস্ট্রোক। সেটাই বদলে দিল ম্যাচের গতিপথ। ১১৮ বলে ১২ন চার ও ৩টি ছয়ের সাহায্যে ভারতকে ম্যাচে ফেরালেন তিনি। শুরুতে সময় নিয়ে তারপর হাত খুললেন পান্ট। সঙ্গ দিলেন পুজারাও (৭৭)।
চতুর্থ উইকেটে পুজারার সঙ্গে পান্টের ১৪৮ রানের জুটি অস্ট্রেলিয়াকে চাপে ফেলে দিয়েছিল। তবে পান্ট ও পুজারা ফিরে গিয়েছিলেন মাত্র ২২ রানের মধ্যে। যা চাপে ফেলে দিয়েছিল দলকে। জয়ের কথা ঝেড়ে ফেলে সঙ্গে সঙ্গেই ম্যাচ বাঁচানোর লড়াইয়ে চলে যায় ভারত। অন্যদিকে, দ্বিতীয় নতুন বল নিয়ে জয়ের গন্ধ পেয়ে গিয়েছিল টিম পেইনের দল। আর তখনই প্রতিরোধ গড়ে তুললেন হনুমা ও অশ্বিন। যা অস্ট্রেলিয়ার হাতের মুঠো থেকে বের করে আনল ম্যাচ।
চতুর্থ ইনিংসে ১৩১ ওভার ব্যাট করে ম্যাচ বাঁচাল ভারত। ভুললে চলবে না, পান্ট ও পূজারা যখন ক্রিজে ছিলেন তখন কিন্ত জয়ের সম্ভাবনা দেখছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা। এই ম্যাচ বাঁচাতে রাহানেদের খেলতে হত চার সেশন। কাজটা সহজ ছিল না। চোটের জন্য রবীন্দ্র জাদেজার ব্যাটিং নিয়ে ছিল সংশয়। সিরিজ থেকেই ছিটকে গিয়েছেন তিনি। চোট পেয়েছিলেন ঋষভ পান্টও।
ব্যাট করার সময় হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে দৌড়তে পারছিলেন না হনুমা বিহারি। শেষ টেস্টে তিনিও সম্ভবত নেই। অথচ সেই চোট নিয়েই অদম্য লড়াই করলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। হনুমা ও অশ্বিন মিলে অবিচ্ছিন্ন ষষ্ঠ উইকেটে খেললেন ২৫৯ বল। হনুমা ১৬১ বলে ভরসা দিলেন দলকে, করলেন ২৩। আর অশ্বিন খেললেন ১২৮ বল। করলেন ৩৯ রান। তবে রান নয়, পুরো তৃতীয় সেশন জুড়ে দুজনে নির্বিষ করলেন কামিন্স, স্টার্ক, লায়ন, হ্যাজেলউডদের। যা নিশ্চিতভাবেই ব্রিসবেন টেস্টের আগে মনোবল বাড়াবে টিম ইন্ডিয়ার। আর হতাশা বাড়বেই অস্ট্রেলিয় শিবিরে।