বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে হারিয়ে প্লে-অফের ছাড়পত্র পেলো রোহিতহীন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। বুধবার রাতে আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সকে ৫ উইকেটে হারায় তারা। সেই সঙ্গে ১২ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে প্রথম দল হিসেবে প্লে-অফে পৌঁছে গেল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।
দুর্দান্ত ওপেনিং পার্টনারশিপের পর হঠাৎই ছন্দপতন। একটা সময় মনে হয়েছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের সামনে ২০০ বেশি রানের টার্গেট দেবে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। কিন্তু জাসপ্রীত বুমারাহর ভয়ংকর বোলিংয়ের সামনে কোনওক্রমে দেড়শ' রানের গণ্ডি টপকায় আরসিবি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৬৪ রান তোলে ব্যঙ্গালোর।
জিতলেই ছাড়পত্র মিলবে প্লে-অফের। এমন সমীকরণের ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে সিদ্ধান্ত নেয় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। আরসিবি-র দুই ওপেনার দেবদূত পারিক্কল ও জোস ফিলিপ দারুণ শুরু করেন। ওপেনিং জুটিতে অষ্টম ওভারে ৭১ রান তোলেন দু’জনে। ২৪ বলে ৩৩ রান করেন ফিলিপ। ফিলিপ আউট হলেও ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যান পারিক্কল। তবে তাঁকে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলি। মাত্র ৯ রান করে জাসপ্রীত বুমরাহের শিকার হন তিনি।
এরপর এবি ডি’ভিলিয়ার্স এসেই আক্রমণাত্মক হলেও ১২ বলে ১৫ রানেই থামেন তিনি। ৪৫ বলে এক ডজন বাউন্ডারি ও একটি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৭৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন পারিক্কল। আইপিএলে ১০০তম উইকেট শিকার করেন বুমরাহ। ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রানের খরচে তুলে নেন ৩ উইকেট। আর সপ্তম উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ২৬ রান যোগ করে দলকে দেড়শ' রানের গণ্ডি টপকাতে সাহায্য করেন গুরকীরত সিং ও ওয়াশিংটন সুন্দর। গুরকীরত ১৪ এবং ওয়াশিংটন ১০ রান করেন।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স হারায় কুইন্টন ডি’ককের (১৮) উইকেট। অন্য ওপেনার তরুণ ঈশান কিষাণ ১৯ বলে ২৫ রান করে ফেরেন। তার আগে যদিও আইপিএলে হাজার রান পূর্ণ করেন তিনি। ৫ রান করেন সৌরভ তিওয়ারি।
সিরাজ-চহাল যখন চেপে বসে মুম্বাই ব্যাটসম্যানদের ওপর, তখন নিজের কাঁধে দায়িত্ব তুলে নেন অভিজ্ঞ সূর্যকুমার যাদব। ২৯ বলে ৫০ পূর্ণ করেন তিনি। তাঁকে সঙ্গ দেন হার্দিক পাণ্ডিয়া (১৭)। দলের জয় নিশ্চিত করেন তাঁরাই। যদিও ম্যাচ শেষ করে ফিরতে পারেননি পাণ্ডিয়া।
পাণ্ডিয়া ফিরলেও শেষ অবধি থেকে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন সূর্যকুমার। জয়সূচক রান আসে তাঁর ব্যাট থেকেই। তিনি অপরাজিত থাকেন ৪৩ বলে ৭৯ রান করে। ম্যাচের সেরার পুরস্কার নিয়ে তিনি বলেন, ‘ম্যাচ শেষ করার ইচ্ছে ছিল অনেকদিন, আজ সেই সুযোগ পেলাম। লকডাউনে নিজের খেলার অনেক উন্নতি করতে পেরেছি। আগে শুধু লেগ সাইডেই খেলতে পারতাম। তিন নম্বরে খেলতে ভাল লাগে কিন্তু ম্যাচ শেষ করার ইচ্ছেটা আজ পূর্ণ হল।’
পাঁচ বল বাকি থাকতেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় মুম্বই। ব্যাঙ্গালোরকে পাঁচ উইকেটে হারাল মুম্বই। এ দিনের জয়ের পর লিগ শীর্ষেই রইল মুম্বই। ১২ ম্যাচে তাঁদের পয়েন্ট ১৬। সমসংখ্যক ম্যাচ খেলে ব্যাঙ্গালোরের পয়েন্ট ১৪। তারা রইল দুই নম্বরে।