টার্গেট ছিল মাত্র ১৮৫ রানের। শারজার ছোট মাঠে তবু ধুঁকতে হলো রাজস্থান রয়্যালসকে। ১৯.৪ ওভারে ১৩৮ রানে গুটিয়ে গেলো তারা। শ্রেয়াস আয়ারের দিল্লি ক্যাপিটালস জিতল ৪৬ রানের ব্যবধানে। একই সঙ্গে ছয় ম্যাচে ১০ পয়েন্টে উঠে এল পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে।
রান তাড়ায় রাজস্থানের ইনিংসে প্রথম আঘাত হেনেছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। জস বাটলারকে ফেরান তিনি। ৮ বলে ১৩ করেন বাটলার। পাওয়ারপ্লে-র ছয় ওভারে রাজস্থান রয়্যালসের রান ১ উইকেট ৪১। তিনে নামা অধিনায়ক স্টিভ স্মিথও বেশিক্ষণ টেকেননি। ১৭ বলে ২৪ রানে ফেরেন স্মিথ। ৭২ রানে ৩ উইকেট পড়ে রাজস্থানের। চারে নামা সঞ্জু স্যামসন (৯ বলে ৫) এই ম্যাচেও রান পেলেন না। ৯০ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর আর ম্যাচে ফেরা হয়নি রাজস্থানের। দলের পক্ষে ২৯ বলে সর্বোচ্চ ৩৮ রানে করেন রাহুল।
তার আগে দিল্লি ক্যাপিটালস আট উইকেট হারিয়ে থেমে গিয়েছিল ১৮৪ রানে। জোফরা আর্চার-সহ বাকিদের দুরন্ত বোলিংয়ে দুশোর আগেই আটকে যায় দিল্লির ইনিংস। টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস। ফলে, শারজায় প্রথমে ব্যাট করতে নেমেছিল শ্রেয়াস আয়ারের দিল্লি ক্যাপিটালস। কিন্তু শুরুতেই ধাক্কা। দ্বিতীয় ওভারে জোফ্রা আর্চারের বলে যশস্বী জয়সওয়ালকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছিলেন শিখর ধাওয়ান (৪ বলে ৫)।
আর এক ওপেনার পৃথ্বী শ’ (১০ বলে ১৯) ফিরেছিলেন পঞ্চম ওভারে। তিনিও আর্চারের শিকার। বোলারকেই লোপ্পা ক্যাচ দিয়েছিলেন পৃথ্বী। ৪২ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারিয়েছিল দিল্লি। এর আগে পড়েছিল পৃথ্বীর ক্যাচ। বরুণ অ্য়ারনের বলে ফাইন লেগে কার্তিক ত্যাগী ফেলেছিলেন তাঁকে। কিন্তু, সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেন না পৃথ্বী।
দিল্লির তৃতীয় উইকেট পড়েছিল ৫০ রানে। অধিনায়ক শ্রেয়াস আয়ার (১৮ বলে ২২) রান আউট হয়েছিলেন। যশস্বীর সরাসরি থ্রোয়ে ফিরতে হয়েছিল তাঁকে। পাওয়ারপ্লে-র ছয় ওভারে দিল্লি তিন উইকেট হারিয়ে তুলেছিল ৫১।
দিল্লির চতুর্থ উইকেট পড়েছিল ৭৯ রানে, ৯.৪ ওভারে। শ্রেয়াসের পর ফের রান আউট হলেন ঋষভ পন্থ (৯ বলে ৫)। শর্ট মিড উইকেটে বল ঠেলেছিলেন মার্কাস স্টোয়নিস। নন-স্ট্রাইকার প্রান্ত থেকে এগিয়ে গিয়েছিলেন পন্থ। আর ফিরতে পারেননি ক্রিজে। ১০ ওভারের শেষে বোর্ডে উঠেছিল ৮৭ রান।
এই অবস্থায় দিল্লির ইনিংসের দায়িত্ব পড়েছিল স্টোয়নিসের উপর। পাঁচে নেমে সহজাত মেজাজে দলকে টানছিলেন তিনি। কিন্তু, রাহুল তেওয়াটিয়ার শেষ ওভারে সহজ ক্যাচ দিলেন স্মিথকে। ৩০ বলে ৩৯ করে ফিরেছিলেন তিনি। ১০৯ রানে পঞ্চম উইকেট হারিয়েছিল দিল্লি। মাঝের ওভার গুলোয় লেগস্পিনার রাহুল তেওয়াটিয়া আগাগোড়া চাপে রেখেছিলেন ব্যাটসম্যানদের। তাঁর চার ওভারে উঠল মাত্র ২০ রান। স্টোয়নিসের মূল্যবান উইকেটও নিলেন তিনি।
শারজাহ মাঠে এবার গড় স্কোর দুশোরও বেশি। তাই ফের ২০০ রানের খেলা হতে পারে বলে মনে করছিল ক্রিকেটমহল। কিন্তু, দিল্লি ক্যাপিটালসের প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানের কেউ বড় রান পেলেন না। ছয়ে নামা শিমরন হেটমায়ার (২৪ বলে ৪৫) চালাচ্ছিলেন ভাল। কিন্তু, তিনিও পঞ্চাশের এ পাশে থেমে গেলেন। কার্তিক ত্যাগীকে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিলেন সীমানায়। তাঁর ঝোড়ো ইনিংসে ছিল পাঁচটি ছয় ও একটি চার। ১৪৯ রানে পড়েছিল দিল্লির ষষ্ঠ উইকেট। শেষ পর্যন্ত ১৮৪ রানে থামে দিল্লি।
এর আগে দিল্লি ক্যাপিটালস পাঁচ ম্যাচের মধ্যে জিতেছিল চারটিতে। আট পয়েন্টে তারা ছিল দ্বিতীয় স্থানে। জিতে তারা উঠে এল একে।