সানরাইজার্স হায়দারাবাদকে ১০ রানে হারিয়ে জয় দিয়েই ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ-আইপিএলে শুভ সূচনা করলো বিরাট কোহলির দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। ব্যাঙ্গালুরুর দেয়া ১৬৩ রানের টার্গেটে নেমে ১৫৩ রানের থামে হায়দরাবাদের ইনিংস।
দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে, ব্যাঙ্গালুরুর হয়ে ডি ভিলিয়ার্সের ২০০ ছক্কার রেকর্ডের দিনে ১৬৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে যান সানরাইজার্স হায়দারাবাদের ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। মাঠ ছাড়ার আগে হায়দরাবাদ-অধিনায়ক ওয়ার্নার করেন মাত্র ৬ রান।
ওয়ার্নারের দ্রুত বিদায়ে দলের হাল ধরতে এগিয়ে আসেন মানিশ পান্ডে। বেয়ারস্টোকে নিয়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন দলকে। কিন্তু বাদ সাধেন চাহাল। ৩৩ বলে ৩৪ করা পান্ডেকে সাজঘরে ফেরান তিনি।
একে একে ব্যর্থতার পরিচয় দেন বিজয় শঙ্কর, প্রিওম গ্রাগ, রাশিদ খানেরাও। কিন্তু উইকেটের অপরপ্রান্ত আগলে ধরে একাই লড়াই চালিয়ে যান বেয়ারস্টো। শেষ পর্যন্ত চাহালের কাছে পরাস্থ হন এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। তবে মাঠ ছাড়ার আগে ৪৩ বলে তার ব্যাট থেকে আসে ৬১ রানের টর্নেডো ইনিংস।
তবে ১৫৩ রানের বেশি সংগ্রহ করতে পারেনি হায়দরাবাদ। তাতে ব্যাঙ্গালুরু পায় ১০ রানের দুর্দান্ত এক জয়।
এর আগে টসে জিতে কোহলির ব্যাঙ্গালুরুকে ব্যাট করতে পাঠায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই শক্ত ভীত গড়ে দেন ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ এবং অভিষিক্ত ওপেনার দেবদূত পারিকাল।
ম্যাচের শুরু থেকেই আগ্রাসী ভূমিকায় ছিলেন দেবদূত। সঙ্গী ফিঞ্চ ধৈর্য্যের সঙ্গে উইকেট আগলে খেলছিলেন আর অপরপ্রান্ত থেকে ব্যাঙ্গালোরের বোলারদের তুলোধুনা করছিলেন নতুন মুখ দেবদূত। দুই জনের ৯০ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহের ইঙ্গিত দেয় ব্যাঙ্গালুরু।
দলীয় ৯০ রানে বিজয় শঙ্করের শিকার হয়ে অভিষেক ম্যাচেই ফিফটি করে সাজঘরে ফেরেন দেবদূত। সঙ্গীর বিদায়ের পরমূহুর্তেই অভিষেক শর্মার বলে লেগ বিফোর হন ২৯ রানে থাকা ফিঞ্চ।
পরপর দুই উইকেট হারিয়ে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে যায় ব্যাঙ্গালুরু। বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন কোহলি ও দুবে। কিন্তু দলের হাল ধরে রাখেন ডি ভিলিয়ার্স। সাজঘরের ফেরার আগে ৩০ বলে ৫১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি। এর আগেই অবশ্য রেকর্ডবুকে নিজের নাম তুলে ফেলেন তিনি। ১৯ তম ওভারের ৩য় বলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বোলার সন্দীপের করা বল এক্সট্রা কাভারে উড়িয়ে সীমানার বাইরে পাঠিয়ে দেন ভিলিয়ার্স। সঙ্গে সঙ্গে ব্যাঙ্গালোরের হয়ে ২০০ ছক্কা মারার কৃতিত্ব নিজের করে নেন এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। এরপরের বলটিকেও ছক্কায় পরিণত করেন তিনি।
শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেটে ১৬৩ রানে থামে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর ইনিংস। বোলাররা পরে এই রানই জয়ের জন্য যথেষ্ট প্রমান করেন।