শীর্ষ দলগুলোর অংশগ্রহণ ছাড়াই শনিবার থেকে মাঠে গড়াচ্ছে স্প্যানিশ ফুটবলের শীর্ষ টুর্নামেন্ট লা লিগা। এই লিগকে ঘিরে নেই কোন প্রত্যাশা, নেই দর্শক উপস্থিতি। নানান বিষ্ময়ে মোড়া থাকতে পারে আসন্ন এই গ্রীস্মকালীন মৌসুমটি।
নানা টানপোড়ার পর আর্জেন্টাইন সুপার স্টার লিওনেল মেসিকে লিগে রেখে দিতে সক্ষম হয়েছে বার্সেলোনা। তবে শনিবার তিনি মাঠে নামবেন একটি প্রীতি ম্যাচে। যেখানে প্রতিপক্ষ তারাগোনা। কারণ তৃতীয় রাউন্ডের আগে নতুন কোচ রোনাল্ড কোম্যানের অধীনে লিগ মিশনে নামছে না বার্সেলোনা।
লিগের শীর্ষ চার দল বার্সা, রিয়াল মাদ্রিদ, অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ও সেভিয়াকে বাড়তি সময় দেয়া হয়েছে লিগের প্রস্তুতির জন্য। ফলে লিগের প্রথম সপ্তাহে পাওয়া যাবে না শীর্ষ চারকে। চলতি মাসের শেষ ভাগের আগে হেভিওয়েট ক্লাবগুলোর পাশাপাশি দর্শক থেকেও বঞ্চিত হবে লা লিগা।
দীর্ঘ ১৪ বছর পর ফের শীর্ষ লিগে ফেরা কাডিজ শনিবার উদ্বোধনী দিনে ওসাসুনার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে নতুন অধ্যায়ের সুচনা করবে। ইপুরুয়ায় স্বাগতিক এই দলটির প্রত্যাবর্তন হবে অনেকটাই নীরবে। কারণ মাঠে দর্শক ফেরার অনুমতি এখনো পাওয়া যায়নি।
এদিকে এইবার তাদের বিষ্ময় অব্যাহত রেখে শীর্ষ এই আসরে টিকে রয়েছে টানা সাত বছর। নিজেদের মাঠে শনিবার সেল্টা ভিগোর মোকাবেলা করবে তারা। লা লিগার পরিকল্পনা হচ্ছে শরৎকালেই সমর্থকদের মাঠে ফেরানোর একটি শক্তিশালী ভিত্তি গড়ে তোলা। নতুন বছর থেকে মোট আসনের ৩০ শতাংশ দর্শক প্রবেশের অনুমতি পেতে পারে তারা।
তবে ভয়ের বিষয় হচ্ছে স্পেনে ফের করোনা সংক্রমনের মাত্রা বাড়ছে। এতে করে বাদ পড়তে পারে ওই পরিকল্পনা। এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হলে সুখবর আসতে হবে সরকারের কাছ থেকে। লা লিগা সভাপতি জাভিয়ের তেবাস সোমবার বলেছেন, ‘আমার বিশ্বাস স্টেডিয়ামকে আগের চেহারায় দেখা সম্ভব শুধুমাত্র ভ্যাকসিনের বদৌলতে। আশা করছি জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারিতেই সেটির দেখা পাব। বিভিন্ন দেশের সরকার এই বিষয়ে ঘোষণা দিতে শুরু করেছে। আর সেটিই হবে খারাপ এই স্বপ্ন থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায়।’
শনিবার অপর ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে গ্রানাডা ও অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের মধ্যে।