আইপিএলে সাধারণত একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ক্রিকেটারদের পরিবার আসে খেলা দেখতে, থাকে সাথে। কিন্তু এবারের পরিস্থিতি যেহেতু সম্পূর্ণ ভিন্ন, তাতে কী আগের নিয়মই বহাল থাকবে নাকি হবে অন্যকিছু? বিষয়টি এখনও অনিশ্চিত। তবে আরব আমিরাতে টুর্নামেন্ট হবে বলে, ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো ইতোমধ্যেই নাকি বোর্ডের কাছে একটা আবেদন করেছে যে, স্বল্প মেয়াদের জন্য ক্রিকেটারদের স্ত্রী-সন্তান-বান্ধবীদের আমিরাতে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে।
কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, এবারের আইপিএলের পরিবেশ একদম আলাদা হবে। ক্রিকেটারদের জৈব-সুরক্ষা বলয়ে পুরো সময়টা থাকতে হবে। টুর্নামেন্টের সময় দু’মাস। মাসখানেক আগে প্র্যাকটিসের জন্য গেলে সেটাও যোগ হবে। অর্থাৎ, সব মিলিয়ে প্রায় তিন মাস। এ রকম লম্বা একটা সময় ক্রিকেটারদের পরিবার থেকে সম্পূর্ণ দূরে রাখাটা কঠিন হবে। তার চেয়ে বোর্ড বিবেচনা করে দেখুক, যদি ধাপে ধাপে ক্রিকেটারদের পরিবারকে নিয়ে যাওয়া যায়।
বিসিসিআই এখনও বিষয়টি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে কেউ কেউ বলেছেন, এই ব্যাপারে অনুমতি পাওয়া কঠিন। এবারের আইপিএল যে সম্পূর্ণ ভিন্ন পরিস্থিতিতে হচ্ছে, সেটা বুঝতে হবে। বোর্ড চাইছে, যত কম সম্ভব লোক নিয়ে আমিরাত যেতে। কারণ পুরো সেট আপটাকে জৈব-সুরক্ষা বলয়ে রাখার কথা ভাবা হচ্ছে।
ক্রিকেটারদের স্ত্রী-বান্ধবীরা সেই সুরক্ষা বলয়ের নিয়মাবলী মেনে থাকবেন এমন গ্যারান্টি কে দেবে? অনেক ক্রিকেটারের সন্তান বয়সের দিক থেকে শিশু। তিন কিংবা পাঁচ বছর বয়স। তাদেরকে টানা দু’মাস গৃহবন্দি করে রাখা সম্ভব নয়।
ফ্র্যাঞ্চাইজিরা আবার বলছে, স্ত্রী-বান্ধবীদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে রাখা নিয়ে ক্রিকেটারদের দায়িত্ব নিতে হলে, তাঁরা নেবেন। দেখা যাক, শেষ পর্যন্ত কী হয়। আগামী ২ আগস্ট আইপিএল গর্ভনিং কাউন্সিলের সভা, সেখানেই সবকিছু ঠিক হবে।