দ্বিতীয় দিনশেষে বাংলাদেশ ৩ উইকেটে ২৪০ রান করে প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ের চেয়ে ২৫ রানে পিছিয়ে থাকলেও আছে সুবিধাজনক অবস্থানে। মুমিনুল ৭৯ ও মুশফিক ৩২ রানে অপরাজিত আছেন। এর আগে, মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে, প্রথম ইনিংসে ২৬৫ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে।
নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হকের ফিফটি, সাথে তিনটি ফিফটি রানের পার্টনারশিপ- মিরপুর টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বড় রান সংগ্রহের পথেই আছে বাংলাদেশ। এরআগে, দুই বাউন্ডারিতে ভালো সূচনার ইঙ্গিত দিলেও দলের ১৮ রানেই সাজঘরে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান সাইফ হাসান।
দ্বিতীয় উইকেটে নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে ৭৮ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের পথ দেখান তামিম ইকবাল। দলের ৯৬ রানে তিরিপানোর বলে উইকেটের পেছনে কাঁটা পড়েন ৪১ রানে থাকা তামিম। সাজঘরে ফেরার আগে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে স্পর্শ করেন ১৩ হাজার রানের মাইলফলক।
এরপর বাংলাদেশের ইনিংস নির্মাণে নাজমুল হোসেন শান্তর সাথে জুটি বাধেন অধিনায়ক মুমিনুল। এরই মাঝে ক্যারিয়ারে প্রথম ফিফটি তুলে নেন শান্ত। তবে বেশিদূর যেতে পারেননি। ১৩৯ বলে ৭ চারে ৭১ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে উইকেটের পেছনে কাঁটা পড়েন তিনিও।
দিনের বাকী সময়টা হতাশায় কাটে জিম্বাবুয়ান বোলারদের। কোনো বিপর্যয় ঘটতে দেননি মুমিনুল-মুশফিক। দিন শেষে দলের স্কোরে ৬৮ রান যোগ করেন এই অভিজ্ঞ দুই ব্যাটসম্যান।
অবশ্য সকালে জিম্বাবুয়েকে দ্রুত অলআউট করার লক্ষ্যই ছিল বাংলাদেশের। আবু জায়েদ ও তাইজুল ইসলামের বোলিংয়ে ৬ উইকেটে ২২৮ রান নিয়ে দিন শুরু করা জিম্বাবুয়ে টিকে ছিল মাত্র ৮০ মিনিট। তাতে শেষ ৪ উইকেটে মাত্র ৩৭ রান যোগ হতেই গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। ৭১ রানে ৪ উইকেট তুলে নেন আবু জায়েদ।