সৌদি আরবের তরুণী রিমা জুফালি ইতোমধ্যেই পুরো পৃথিবীতে নিজেকে একজন রোল মডেলে পরিণত করেছেন। দেশের প্রথম নারী রেসার হিসেবে ২০১৮ সালে কার ড্রাইভিংয়ে নাম লিখিয়ে রেকর্ড গড়েন সৌদি নারী রিমা। অংশ নেন আবুধাবির Yas Marina Circuit রেসে। যুক্তরাষ্ট্রের নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েট ২৭ বছরের এই সৌদি নারী কেন্টে ব্রিটিশ ফরমুলা ফোর প্রতিযোগিতায়ও অংশ নিয়েছিলেন। তখন থেকেই সৌদি আরবের জাতীয় বিমান সংস্থা ‘সৌদি অ্যারাবিয়া’ রিমা জুফালিকে স্পন্সর করে আসছে। এবং পুরুষ শাসিত এই সমাজে তিনি আলাদাভাবে আসন করে নিয়েছেন।
এতে করে, একটু হলেও পুরুষদের বাইরে অন্যকিছু ভাবনারও সময় পেয়েছে মোটরস্পোর্টস। কার রেসিংয়ে আসা নিয়ে তিনি বলেন, ‘কয়েক বছর আগে হঠাত করে মনেহলো আমি পেশাদার সার্কিটে অংশ নেব। ব্যাস, অংশ নিলাম। তবে এই এরিনায় কিছু করে দেখানোর জন্য সময়টা অনেক দেরী হয়ে গেছে।’
তবে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে আবারও তিনি অংশ নিচ্ছেন নিজ দেশে। চলতি নভেম্বও মাসের শেষ দিকে নিজ দেশ সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে, জাগুয়ার গাড়ি নিয়ে তিনি ‘I-Pace eTrophy’ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে যাচ্ছেন। আর সবচেয়ে বেশি আবেদনময়ী হিসেবে সমালোচকদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হতে যাচ্ছেন।
বলে রাখা ভালো যে, মাত্র ১৭ মাস আগে সৌদি আরবের নারীরা গাড়ি চালানোর অনুমতি পেয়েছেন। আর জুফালি জানান যে পেশা হিসেবে কার রেসিংকে বেছে নেওয়ার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে তাকে নিন্দা করেছেন। তিনি জানান, এখানে অনেক পুরুষ আছেন যারা মনে করেন এটা(কার রেসিং) নারীদের জন্য নয়।’ তিনি আরো বলেন, কিছু পুরুষ আমার পেশাকে মেনেই নিতে পারছেন না। তবে আমি একলা চলার পন্থি। কে কি বললো তাতে আমার যায় আসে না। নিজের কাজ দিয়েই আমি জনসাধারণের নজরে আসতে চাই।’
জুফালি বলেন, কেউ কেউ আবার একধাপ এগিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাকে ম্যাসেজ দিয়ে জানায়, যা করছি সেটা নারীদের জন্য মোটেও শোভন কিছু নয়। এইসব কথার সমালোচনাও করেন অনেক পুরুষ-মহিলা। ঐ মন্তব্যকারীকে তারা অশিক্ষিত বলেও নিন্দা করেন। তবে আমি জোর গলায় বলতে চাই, এসব কিছু আমি অন্যের জন্য করছি না। কার রেসিংটা একটা চ্যালেঞ্জ। আমি চ্যালেঞ্জ নিতে ভালোবাসি। সবচেয়ে বড় কথা এই কাজটা করতে আমি মজা পাই।