ভারতের ঐতিহ্যবাহী দল মোহনবাগানকে ৪-২ গোলে বিধ্বস্ত করে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপের ফাইনালে উঠেছে মালয়শিয়ার তেরেঙ্গানু এফসি। দ্বিতীয় সেমি ফাইনালে অধিনায়ক লি টাকের হ্যাটট্রিকে দারুণ এক জয় পায় দলটি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় শিরোপা নির্ধারনী ম্যাচে স্বাগতিক চিটাগং আবাহনীর মুখোমুখি হবে তেরেঙ্গানু।
এবারের আসরের শুরু থেকেই একের পর এক জয় তুলে নিয়ে ফুটবলবোদ্ধাদের মন জয় করে নিয়েছিল তেরেঙ্গানু। চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে, টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমিফাইনালেও সেই ধারা অব্যাহত রাখলেন দলটির ফুটবলাররা। শুরু থেকেই আক্রমন করে মোহনবাগানকে চাপে ফেলে দেয় তারা। তবে গোলের জন্য অপেক্ষায় থাকতে হয় ম্যাচের ৩৯ মিনিট পর্যন্ত। অধিনায়ক লি টাকের গোলে লিড নেয় তেরেঙ্গানু। ২৫ গজ দূর থেকে ব্রিটিশ এই মিডফিল্ডারের ফ্রি-কিকে বোকা বনে যান মোহনবাগান গোলরক্ষক দেবজিত। প্রথমার্ধে আর কোন গোলের দেখা পায়নি কোন দল।
তবে বিরতির পর ফিরেই অবশ্য পেনাল্টি থেকে গোল শোধ করে মোহনবাগান। স্পট কিক থেকে দলকে ম্যাচে ফেরান ফ্রান্সিসকো জাভিয়ের (১-১)। উৎসবে মেতে উঠে কলকাতার দলটি। তবে তাদের সে হাসি খুব বেশী সময় স্থায়ী হয়নি। ম্যাচের ৫৯ মিনিটে আবারো এগিয়ে যায় তেরেঙ্গানু। এবারো গোলের নায়ক লি টাক। ফ্রি কিক থেকে দারুন এক গোল করেন তিনি (২-১)। পিছিয়ে পড়া মোহানবাগানও ম্যাচে হাল ছাড়তে নারাজ। দুই মিনিট পরেই গোল পরিশোধ করে ফেলে দলটি। মোহনবাগানকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন প্রথম গোলদাতা ফ্রান্সিসকো (২-২)।
প্রথম সেমিফাইনালের মতো এ ম্যাচের ভাগ্যও আবার অতিরিক্ত সময়ে গড়ায় কি না- সে ভাবনায় যখন মত্ব দর্শকরা। তখন সব ভাবনায় ছেদ ঘটিয়ে ম্যাচ নিজেদের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে নেয় তেরেঙ্গানু। মালয়শিয়ান ক্লাবটির ডাক আউটে স্বস্তি এনে দেন সায়ফিক বিন ইসমাইল (৩-২)। সতীর্থের লং পাস ধরে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ছোট বক্সের ডানপ্রান্ত দিয়ে আড়াআড়ি শটে নিশানা ভেদ করেন এ মিডফিল্ডার। আর চার মিনিট পর মোহনবাগানের গোলরক্ষক দেবজিতের ভুলে পেনাল্টি পায় মালয়েশিয়ার ক্লাবটি। স্পট কিক থেকে ব্যবধান বাড়াতে ভুল করেননি লি টাক (৪-২)। চলতি এ আসরে এটা তার দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক। এরআগে, গ্রুপ পর্বের ম্যাচে বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করেছিলেন এক সময় ঢাকা আবাহনীতে খেলে যাওয়া এই মিডফিল্ডার।