নাওমি ওসাকায় মুগ্ধ টেনিস বিশ্ব। সাবেক গ্রেটরা তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। ক্রিস এভার্ট বলছেন, ‘নাওমি টেনিসের এক উত্তেজক আবিষ্কার। আগামীদিনে, সে আর কী কী করে দেখার জন্য মুখিয়ে আছি।’ মার্টিনা নাভ্রাতিলোভার প্রতিক্রিয়া, ‘আমার চোখে মেয়েটা এখনই সুপারস্টার।’ আর এক কিংবদন্তি বিলি জেন কিং বলেছেন, ‘নাওমি, তুমি নিজেও জানো না তোমার ভবিষ্যৎ কতটা উজ্জ্বল।’
কিংবদন্তি থেকে জাপানের হাকুবার মতো শহরের উচ্ছ্বাস! আপ্লুত জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেও। অভিনন্দনের বন্যায় ভাসছেন নাওমি ওসাকা। গত শনিবার অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে পেত্রা কেভিতোভাকে ৭-৬ (৭-২), ৫-৭, ৬-৪ গেমে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়া। পরপর দু’টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়। এবং প্রথম এশিয় হিসেবে বিশ্বের এক নম্বর হওয়া। মাত্র একুশ বছর বয়সে দারুণ বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছেন নাওমি ওসাকা। শনিবার চ্যাম্পিয়নের ট্রফি নিয়ে ভুলেই যান কোর্টেই তাঁকে কিছু বলতে হবে। খেয়াল হতেই ক্ষমা চেয়ে বলেন, ‘এতো লোকের সামনে কথাই বলতে পারি না। চ্যাম্পিয়ন হলে কী বলব লিখে রেখেছিলাম। কিন্তু আনন্দে সব ভুলে গেছি।’
যুক্তরাষ্ট্র টেনিস অ্যাসোসিয়েশন পুরো চুপচাপ। তাদের কাছে নাওমির হাইতিয়ান বাবা লিওনার্ড ফ্রাঙ্কোয়েস বারবার সাহায্যের জন্য গিয়ে খালি হাতে ফিরে ঠিক করেন তাঁর মেয়ে খেলবেন, জাপানের হয়েই। এবং ফ্লোরিডায় বসে নিজেই ট্রেনিং দেবেন দুই মেয়ে মারি এবং নাওমিকে। সেরেনার বাবা রিচার্ড উইলিয়ামসের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে নাওমির বাবাও দুই মেয়েকে তৈরি করেন। স্ত্রী জাপানের তামাকি ওসাকার পদবিতে মেয়েদের লাইম লাইটে আনেন।