গত তিন বছর ধরেই একের পর এক বাংলাদেশের তরুণ ক্রিকেটার বিভিন্ন অপরাধমুলক কাজে জড়িয়ে পড়ছেন। আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। জেলেও যেতে হয় তিন ক্রিকেটারকে। সবশেষ তরুণ অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের বিরুদ্ধে যৌতুক এবং শারিরীক-মানসিক নির্যাতনের অভিযোগে মামলা করেছেন তার স্ত্রী সামিয়া। এসব বিষয় নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
বিসিবি সভাপতি মনে করেন, ব্যক্তি জীবনে ক্রিকেটারদের নিয়ন্ত্রণ করা বিসিবির পক্ষে কঠিন। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এখনও ক্রিকেটারদের ব্যক্তি জীবনের কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি। মূলত সাব্বির রহমানকে স্কোয়াড থেকে বাদ দেয়ার কারণ হিসেবে তার ব্যক্তিগত জীবনের বিভিন্ন ঘটনাকে দায়ী করেন বিসিবি সভাপতি।
আগামী শনিবার পহেলা সেপ্টেম্বর শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তিনজন ক্রিকেটারকে শুনানিতে ডাকা হয়েছে। তাদের মধ্যে আছেন সাব্বির রহমান, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও নাসির হোসেন।
ক্রিকেটারদের ব্যক্তি জীবনের সমস্যা ও সংকট সৃষ্টি নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ভূমিকা নিয়ে পাপান বলেন, 'প্রাইভেট অনেক সমস্যা আছে সেখানে বিসিবির পক্ষে ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয় না। কেউ যদি কাউকে ডিভোর্স দেয় বা কেউ যদি একাধিক বিয়ে করে সেখানেও আমাদের কিছু করার নেই।'
নাজমুল হাসান পাপনের মতে, ক্রিকেটাররা যেহেতু আইডল বাংলাদেশের অনেকের কাছে, অনেকে সমর্থন করেন, অনেকে অনুসরণ করেন তাই বিসিবি চেষ্টা করে ক্রিকেটারদের ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড কোনো ক্রিকেটারের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ যে শাস্তি সেটা নির্ধারণ করেছে সেটা হলো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলতে না ডাকা।
ক্রিকেটারদের মানসিক অবস্থার উন্নতির জন্য একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দেয়ার কথা আজ বিসিবিতে আলোচনা করা হয়েছে বলে জানান পাপন।