যুক্তরাষ্ট্রে রক্তাক্ত হলেন সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক ওয়েইন রুনি। ডিসি ইউনাইটেডের হয়ে প্রথম গোল করার ম্যাচেই রক্তাক্ত হন তিনি। রবিবার মেজর লিগ সকার (এমএলএস)-এ কলরাডো র্যাপিডসের এক ফুটবলারের সঙ্গে সংঘর্ষে নাক ফেটে যায় সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়কের। কিন্তু মাঠ ছাড়েননি রুনি। ক্ষতস্থানে সেলাই করে ফিরে আসেন মাঠে।
ইংল্যান্ড ছেড়ে চলতি বছরই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ডিসি ইউনাইটেডে যোগ দেন রুনি। প্রথম তিনটি ম্যাচে গোল করতে পারেননি তিনি। কলোরাডোর বিরুদ্ধে ৩৩ মিনিটে দলকে এগিয়ে দেন রুনি। ৮২ মিনিটে কলোরাডোর হয়ে সমতা ফেরান কেলাইন আকোস্তা। ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে নিকি জ্যাকসনের আত্মঘাতি গোলে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ডিসি ইউনাইটেড।
এরপরই ঘটে বিপর্যয়। ইনজুরি টাইমে কর্নার পায় কলরাডো। রক্ষণকে সাহায্য করতে রুনি নেমে আসেন পেনাল্টি বক্সে। সেখানেই প্রতিপক্ষের ফুটবলারের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক এই তারকা।
খেলতে খেলতে রুনির রক্তাক্ত হওয়ার ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। ২০১৩ সালে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে খেলার সময় সতীর্থ ফিল জোন্সের সঙ্গে সংঘর্ষে কপাল ফেটে গিয়েছিল তাঁর। বারোটা সেলাই পড়েছিল ক্ষতস্থানে। প্রায় এক মাস লেগেছিল সুস্থ হয়ে উঠতে। গত মৌসুমে এভার্টনে ছিলেন রুনি। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে বোর্নমাউথের ডিফেন্ডার সাইমন ফ্রান্সিসের কুনুইয়ের আঘাতে আবারও রক্তাক্ত হন তিনি। এবার মার্কিন মুলুকেও তার পুনরাবৃত্তি দেখলেন ফুটবপ্রেমীরা।
ডিসি ইউনাইটেডের সমর্থকেরা অবশ্য অভিভূত রুনির দায়বদ্ধতা দেখে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁরা উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন ৩২ বছর বয়সি ইংল্যান্ড জাতীয় দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি গোল করা রুনির।