বিশ্বকাপের শিরোপা জয়ী দল নিয়ে ভবিষ্যত বাণীর কমতি থাকেনা। এবারও সেই ধারা অব্যাহত আছে। টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই নানান রকমের সংস্কার আর বিভিন্ন রকমের সংখ্যাতত্ত্ব আর বিভিন্ন রকমের যুক্তি নিয়ে হাজির হন ফুটবলপ্রেমীরা। বিশ্বকাপের শেষ পর্যায়ে এসেও খামতি নেই তার। ফাইনালে কোন দুটি দল খেলবে তা নির্ধারিত হওয়ার পরই ফুটবলপ্রেমীদের একাংশ দাবি করছে এবারে চ্যাম্পিয়ন হবে ক্রোয়েশিয়া। আবার কারো দাবী দ্বিতীয়বার শিরোপা জিতবে ফ্রান্স।
তবে বিশ্বকাপে গত ৬০ বছরের ইতিহাস কিন্তু বলছে নতুন চ্যাম্পিয়নই পাবে ফুটবলবিশ্ব। কারণ ১৯৫৮ সাল থেকে প্রতি ২০ বছর পর পর নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেয়ে আসছে ফুটবল। ১৯৫৮ সালে প্রথমবারের জন্য চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ব্রাজিল। সেবারের ফাইনালে শৈল্পিক ফুটবলের এই দেশটি হারিয়েছিল সুইডেনকে। তার ২০ বছর পর, ১৯৭৮ সালে- চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আর্জেন্টিনা। ফাইনালে তারা পরাজিত করে নেদারল্যান্ডকে। আরো ২০ বছর পরে ১৯৯৮ সালে। জিনেদিন জিদানের ফ্রান্স ৩-০ গোলে ব্রাজিলকে হারিয়ে ‘লা ব্লু’দের প্রথমবারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের স্বাদ পাইয়ে দেন। তার ঠিক ২০ বছর পর সেই ফ্রান্সেরই মুখোমুখি হচ্ছে ক্রোয়েশিয়া। এবারই প্রথম বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠল ক্রোয়াটরা। গত ৬০ বছরের ধারা বজার রাখতে পারলে বিশ্বকাপ শিরোপা যাবে ক্রোয়েশিয়ার ঘরেই। আর ২০ বছর পর ফুটবল বিশ্ব আবারও পাবে নতুন চ্যাম্পিয়ন।
কিন্তু শিরোপা জয়ের এতে কাছে এসে খালিহাতে ফিরবে কেনো ফ্রান্স! নিজেদের ফুটবল ইতিহাসে দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ বা ছাড়বে কেন তারা। ১৯৯৮ সালে এই ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে জিতেই ফাইনাল খেলেছিল ফ্রান্স। এবার তাদেরকে হারিয়ে শিরোপা জেতার পালা এমবাপে-পগবা-জিরুদদের। সাথে দলের কোচ দিদিয়ের দেশামের অনন্য রেকর্ড গড়ার সুযোগ কেনো হেলায় হারাবেন তার শিষ্যরা। মারিও জাগালো এবং বেকেনবাওয়ারের পর খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ জেতার হাতছানি যে এখন দেশামের সামনে। সব ধরণের ইতিহাস কিংবা ভবিষ্যদ বাণী পেছনে ফেলবার জন্য মগজের সবটাই যে কাজে লাগাবেন দেশাম সে ব্যাপারে কারো কোনো সন্দেহই থাকার কথা নয়।