নিজনি নোভগ্রোদে আজ রাশিয়া বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে পানামার মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড। এই ম্যাচের জয়ী হতে পারলেই শেষ ১৬ নিশ্চিত হবে গ্যারেথ সাউথগেটের দলের। যে কারণে জয় ভিন্ন কিছুই ভাবছে না ইংলিশরা।
পানামা ও তিউনিসিয়াকে হারিয়ে দুই ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে বেলজিয়াম আছে গ্রুপের শীর্ষে। এর আগে প্রথম ম্যাচে অধিনায়ক হ্যারি কেনের ইনজুরি টাইমের গোলে থ্রি লায়ন্সরা তিউনিসিয়ার বিপক্ষে ২-১ গোলের জয় তুলে নিয়েছিল। পানামার বিপক্ষে প্রথম কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ম্যাচে টানা সাফল্যের পথে ইংল্যান্ডকে ফেবারিট হিসেবে মানা হচ্ছে। রাশিয়ার যাত্রাটা এখন পর্যন্ত ভাল কাটলে সম্প্রতি সাউথগেটের কিছু পরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
থাইয়ের ইনজুরির কারণে মাঠে নামতে পারছেন না ডালে আলি। হার্নান ডারিও গোমেজের দলের বিপক্ষে রাহিম স্টার্লিংয়ের মূল একাদশে না খেলার গুঞ্জন রয়েছে। তার পরিবর্তে মধ্যমাঠ সামলাবেন রুবেন লফটাস-চিক। আর আক্রমনভাগে কেনের সাথে থাকবেন মার্কোস রাশফোর্ড।
প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ড তিউনিশিয়ার বিপক্ষে প্রথমার্ধে বেশ কঠিন সময় পার করেছে। শঙ্কা রয়েছে শক্তিশালী শারিরীক দক্ষতার পানামার বিপক্ষে একইভাবে কঠিন সময় না কাটাতে হয় ইংলিশদের। যদিও তারকা ডিফেন্ডার কাইল ওয়াকার মধ্য আমেরিকান দলটির বিপক্ষে কঠিন চ্যালেঞ্জের আভাসই দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা জানি তারা শারিরীক ভাবে বেশ শক্তিশালী। তিউনিশিয়া পিছনে থেকে বল নিয়ে খেলতে পছন্দ করে ও দারুণ ধৈর্য্যরে সাথে খেলে থাকে। কিন্তু পানামা সম্ভবত সরাসরি খেলতে পছন্দ করে। তাদের আমাদের নিয়ে যতটা চিন্তা করার কথা তার থেকে আমরা তাদের নিয়ে বেশী চিন্তিত। গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় আমাদের খেলোয়াড়রা আছে এবং যেকোন সময়ই আমরা গোল করার ক্ষমতা রাখি। বল আমাদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে ম্যাচ আমাদের দিকেই থাকবে বলে আশা করছি।
পানামার শক্ত রক্ষণভাগের বিপক্ষে বেলজিয়াম যেভাবে কঠিন প্রতিরোধের মুখে পড়েছিল সেটা চিন্তা করেই ইংল্যান্ডকে কৌশল ঠিক করতে হচ্ছে। সে কারণেই মূল একাদশে রাশফোর্ডে ফেরাটা ইংলিশ শিবিরকে উজ্জীবিত করবে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এই তারকা ফরোয়ার্ডের অন্তর্ভুক্তি পানামার রক্ষণভাগের জন্যও চ্যালেঞ্জ হতে পারে।
কনকাকাফ-এর কোন দেশের বিপক্ষে ইংল্যান্ড তাদের শেষ চারটি বিশ্বকাপে অপরাজিত রয়েছে। এর মধ্যে শেষ দুটি ম্যাচ ছিল ড্র (২০১০ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও ২০১৪ সালে কোস্টারিকার বিপক্ষে)। ১৯৫০ সালে একমাত্র পরাজয়টি এসেছিল যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে। কনকাকাফের কোন দল ইউরোপীয়ান কোন দলের বিপক্ষে শেষ ১০টি বিশ্বকাপ ম্যাচে মাত্র একটিতে জয়ী হয়েছে। এবারের টুর্নামেন্টে ওই জয়টি এসেছে জার্মানীর বিপক্ষে মেক্সিকোর জয়ে।
এর আগে ১৯৮২ ও ২০০৬ সালের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড তাদের প্রথম দুটি বিশ্বকাপের ম্যাচের জয়ী হয়েছিল। এবারের টুর্নামেন্টে কেন ইতোমধ্যেই দুটি গোল করেছেন। এর আগে ১৯৮৬ সালে গ্যারি লিনেকার একমাত্র ইংলিশ খেলোয়াড় হিসেবে গ্রুপ পর্বে তিনটি গোল করেছিলেন।