ইতিহাসের প্রথম চার দিনের দিবারাত্রির টেস্টে দুই দিনেই ইতিহাস হয়ে গেলো। দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে ন্যূনতম লড়াইটাও করতে পারল না জিম্বাবুয়ে। পোর্ট এলিজাবেথে ইনিংস ও ১২০ রানে জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
প্রথম দিনেই প্রোটিয়ারা ৯ উইকেটে ৩০৯ রানে ইনিংস ঘোষণা করেছিল। জবাবে দিন শেষে ৩০ রানেই ৪ উইকেট হারিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। আর দ্বিতীয় দিনে মাত্র ৩৮ রান যোগ করতেই বাকি ৬ উইকেট হারিয়ে ৬৮ রানে অলআউট হয়ে যায় সফরকারীরা।
ফলোঅনে পড়ে ব্যাটিংয়ে নেমে জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় ইনিংস গুটিয়ে যায় মাত্র ১২১ রানে। দ্বিতীয় দিনের তখনো বাকি ছিল ৩৮ ওভার। সব মিলিয়ে পাঁচ সেশনেই ম্যাচ শেষ। এক দিনেই জিম্বাবুয়ে হারায় ১৬ উইকেট।
জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংসে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছেন মরনে মরকেল। ডানহাতি পেসার পাঁচ বছর পর টেস্টে পাঁচ উইকেট পেয়েছেন, ২১ রানে। তাতে টেস্টে নিজেদের পঞ্চম সর্বনিম্ন রানের (৬৮) লজ্জায় ডোবে জিম্বাবুয়ে।
দক্ষিণ আফ্রিকাকে আবার ব্যাটিংয়ে নামাতে দ্বিতীয় ইনিংসে জিম্বাবুয়েকে করতে হতো ২৪১ রান। শুরুটা যদিও ভালোই হয়েছিল। লাঞ্চ বিরতির আগে ১৩ ওভারে তারা কোনো উইকেট হারায়নি, রান করেছিল ৩৬। এর আগে পঞ্চম ওভারে চোট নিয়ে মাঠ ছেড়ে যান হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। চামু চিবাবার সঙ্গে যোগ দেন ক্রেইগ আরভিন।
চিবাবা ও আরভিন ৫৪ রানের জুটি গড়েছিলেন। কাগিসো রাবাদার বলে চিবাবার বিদায়ে (১৫) ভাঙে এ জুটি। জিম্বাবুয়ের ধসের শুরু দলীয় ৭৫ রানে ব্রেন্ডন টেলর ১৬ রান করে ফিরে যাওয়ার পরই। ১ উইকেটে ৭৫ থেকে দ্রুতই জিম্বাবুয়ের স্কোর হয়ে যায় ৫ উইকেটে ৮০।
সফরকারীরা শেষ পাঁচ উইকেট হারায় ৪১ রানে। ৪২.৩ ওভারে ১২১ রানেই অলআউট হয়ে যায়। প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ে খেলতে পেরেছিল ৩০.১ ওভার। কোনো টেস্টে প্রতিপক্ষের ২০ উইকেট নিতে দক্ষিণ আফ্রিকার এত কম বল এর আগে লাগেনি। দুই ইনিংস মিলিয়ে জিম্বাবুয়ের কোনো ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ রান ২৩।
প্রথম ইনিংসে মরকেলের তোপে চুরমার হওয়া জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে মাহরাজের স্পিন বিষে নীল হয়েছে। বাঁহাতি এই স্পিনার ৫৯ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট। ৩টি উইকেট নিয়েছেন ফিকোয়াও। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ ওভার বল করে কোনো উইকেট পাননি মরকেল।