আগামী ১৫ই ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে অনূর্ধ্ব-১৫ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। অথচ এখনো শুরুই হয়নি কমলাপুর শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ। দিন বিশেক আগে পরিদর্শন করে শিগগিরই কাজ শুরুর আশ্বাস দিলেও, আটকে আছে সংস্কার কাজের বাজেটের টাকা। ফলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে স্টেডিয়াম তৈরির বিষয়ে আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন সাফ সেক্রেটারি আনোয়ারুল হক হেলাল।
তবে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই মাঠ প্রস্তুত করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার। এ বিষয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব ওমর ফারুক বলেন, যদি আমরা সরকারি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে যাই তাহলে আদৌ সম্ভব না। আমাদের পিপিআর অনুযায়ী, অন্য পন্থাও আছে। সেটা হচ্ছে এ রকম জরুরী কাজের জন্য আমরা লিমিটেড টেন্ডার মেথডে যেতে পারি।
অথচ প্রায় তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও, এখনো কাজই শুরু করতে পারেনি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। অনূর্ধ্ব-১৫ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের বাকি সপ্তাহ দুয়েক। ভেন্যু কমলাপুরের শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়াম। যেখানে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট আয়োজনের ব্যবস্থাপনা নেই বললেই চলে। নেই ড্রেসিং রুম, মিডিয়া রুম। এমনকি পর্যাপ্ত ফ্লাডলাইটের ব্যবস্থাও। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে এসব সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিলেও, এনএসসি আর ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অবহেলায় এখনো শুরু হয়নি কাজ।
সাফের সেক্রেটারি আনোয়ারুল হক হেলাল বলেন, আমরা কিছুটা চিন্তায়ই আছি। কারণ, ড্রেসিংরুম কমপক্ষে চারটা না হলে খেলানো অনেক কঠিন হবে। এমনিতেই আমরা ফ্লাডলাইট পাচ্ছি না। খেলা হচ্ছে ডিসেম্বরে, শীতের দিনে লাইট অনেক কমে যায়। আমাদের দেশে সব কাজই তো শেষ মুহূর্তে হয়, এটাও আশা করি সেভাবে হবে।
নির্ধারিত সময়ে ভেন্যু প্রস্তুতের আশ্বাস দেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার। তিনি বলেন, স্টেডিয়ামের সংস্কারের জন্য আমরা এরইমধ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। কি কি সংস্কার করতে হবে সেটা চিহ্নিত করা হয়েছে। আশা করছি, খুব শীগগিরই কমলাপুর স্টেডিয়ামের যেসব ত্রুটি-বিচ্যুতি আছে সেগুলো ঠিক করে দেবো।
এমনিতেই আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বেশ পিছিয়ে দেশের ফুটবল। তার উপর দায়সারা টুর্নামেন্ট আয়োজনে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কাই বেশি।