টানা দুই ম্যাচে জিতে স্বপ্নের ফাইনালের অনেক কাছে বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় পেলেই নিশ্চিত হয়ে যাবে তা। তাই এ ম্যাচ নিয়ে দর্শকদের তুমুল আগ্রহ তৈরি হয়েছে। মিরপুর স্টেডিয়ামের আশে পাশে এদিন সকাল থেকে ছিল দর্শকদের টিকিটের জন্য হাহাকার। প্রতিটি টিকিট যেন এক একটি সোনার হরিণে পরিণত হয়েছে।
মিরপুর ইনডোর স্টেডিয়ামে সকাল থেকে ঘণ্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন টিকিটের প্রত্যাশায়। তবে আগে যাওয়ার জন্য মাঝে মধ্যেই বিশৃঙ্খল হয়ে কিছু দর্শক ঢুকে পড়ার চেষ্টা করেন। বেপরোয়া দর্শকদের নিয়ন্ত্রণ করতে নিরাপত্তাবাহিনীকে মৃদু লাঠিচার্জও করতে হয়।
তবে এ ম্যাচে দর্শকদের আগ্রহে পোয়াবারো কালোবাজারিদের। সুযোগ বুঝে কালোবাজারিরাও হাঁকাচ্ছেন চড়া দাম। দেড়শত টাকার একটি টিকিটের মূল্য তারা চাচ্ছেন দেড় হাজার টাকায়। শরীয়তপুর থেকে চার বন্ধু এসেছেন পাকিস্তান-বাংলাদেশের এ বড় ম্যাচ দেখতে। তাদের মধ্যে রতন নামের এক কলেজ ছাত্র জানান, ‘সকাল নয়টায় তারা ইনডোর স্টেডিয়ামে এসে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু দুপুর দুইটা পর্যন্ত লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট পাননি। কিছুক্ষণ আগে জেনেছি আজ আর টিকিট বিক্রি হবে না। এখন কালোবাজারিই ভরশা। না হলে এত দূর থেকে এসে খেলা দেখা হবে না।’
মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের চার নম্বর গেটের পাশে এক কালোবাজারির কাছ থেকে টিকিট নিয়েছেন ঢাকার লালবাগ থেকে আসা নয়ন। জানালেন, ‘দেড়শত টাকার প্রতিটি টিকিট তিনি তেরশত টাকায় নিয়েছেন। সকালে ইনডোরে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট পাননি। তাই বাধ্য হয়েই কালোবাজারিদের কাছ থেকে টিকিট নিয়েছেন। এখনো স্টেডিয়ামের চারদিকে প্রায় হাজার দুয়েক দর্শক টিকিটের প্রত্যাশায় ঘুরছিলেন। উদ্দেশ্য কালোবাজারিদের কাছ থেকে টিকিট কিনে খেলা দেখা।