এক বছরের বেশি সময় পর টেস্ট ক্রিকেট ফিরছে মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে। গত বছর অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এই মাঠে শেষ টেস্ট খেলেছিল টাইগাররা। আগামীকাল (১৯ নভেম্বর) শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টটি। এই টেস্টটি বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে এক মাইলফলক হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ পেতে যাচ্ছে ১০০ টেস্ট খেলা প্রথম ক্রিকেটার।
২০০৫ সালে ক্রিকেটের তীর্থ খ্যাত লর্ডসে টেস্ট অভিষেক মুশফিকুর রহিমের। সাদা বলের ক্রিকেট থেকে সরে গেলেও ক্রিকেটের সবচেয়ে অভিজাত সংস্করণে খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন মুশফিক। আর তাতেই তার সামনে উপস্থিত হয়েছে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে এক জায়গায় নিজের নামটা ‘প্রথম’ হিসেবে চিরস্থায়ী করতে যাচ্ছেন ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’ খ্যাত এই ক্রিকেটার।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আগামীকাল শুরু হতে যাওয়া টেস্টটি মুশফিকের ক্যারিয়ারের শততম টেস্ট। প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে তিনি এই মাইলফলক ছুঁতে যাচ্ছেন। উপলক্ষটা স্মরণীয় করে রাখতে বিসিবি বিশেষ পরিকল্পনা নিয়েছে। সতীর্থ খেলোয়াড়, সাবেক ক্রিকেটার-কোচ, সমর্থকরা করছেন মুশফিককে নিয়ে স্মৃতিচারণা। চলছে মুশফিক বন্দনা।
বাংলাদেশের সাবেক ওয়ানডে অধিনায়ক ও মুশফিকের বন্ধু-সতীর্থ তামিম ইকবাল মনে করেন, দেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে এই মাইলফলকে নাম লেখানোটা মুশফিকেরই প্রাপ্য ছিল।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) ফেসবুকে এক পোস্টে তামিম লিখেছেন, ‘তোকে নিয়ে বলার আছে অনেক কিছু্ই। সেই ছেলেবেলা থেকে একসঙ্গে খেলছি, বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে, বিভিন্ন পর্যায়ে, রুমমেট ছিলাম অনেকবার। কাছ থেকে দেখেছি তোকে। কোনো এক সময় কোন এক উপলক্ষে কোনো প্ল্যাটফর্মে নিশ্চয়ই বলব সবকিছু।’
তামিম আরও লিখেছেন, ‘তবে আজকের দিনের জন্য শুধু একটিই কথা, বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ১০০ টেস্ট খেলার মাইলফলক তোর চেয়ে বেশি আর কেউ ডিজার্ভ করে না। আশা করি, ভবিষ্যতে এই অর্জনে তোর পাশে নাম লেখাবে আরো অনেকেই। কিন্তু তুই প্রথম, এটা তোরই প্রাপ্য।’
৩৮ বছর বয়সী মুশফিক এখন পর্যন্ত ৯৯ টেস্টের ১৮২ ইনিংসে ৩৮.০২ গড়ে ৬৩৫১ রান করেছেন। ২৭টি অর্ধশতক ও ১২টি শতক হাঁকানো এই ক্রিকেটারের সর্বোচ্চ ইনিংস ২১৯ (অপরাজিত)।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।
