মীর হামজার ওভারে আবরার আহমেদকে ক্যাচ দিয়েছিলেন জাকির হাসান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বেঁচে যান তিনি, দেখা যায় আবরার বল তালুবন্দি করার আগে তা মাটি ছুঁয়েছিল। তবুও সতর্ক হননি জাকির, ক্যাচ দেন সেই আবরারকেই, তবে এবার বল করছিলেন খুররাম শাহজাদ। এই পেসারই যম হিসেবে আবির্ভুত হন সাদমান ইসলাম ও নাজমুল হোসেন শান্তর কাছে।
পাকিস্তানকে ২৭৪ রানে অলআউট করার পর এ টেস্টের ভাগ্য যে ব্যাটারদের ওপর নির্ভর করছে, তা দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষেই বলেছিলেন তাসকিন আহমেদ। দায়িত্ব কাঁধে নেয়ার আহ্বানও করেছিলেন তিনি। কিন্তু প্রথম সেশনের শুরুতেই মুখ থুবড়ে পড়ল টাইগাররা।
খুররামের ওভারে ১ রান করেই মাঠ ছাড়তে হয় জাকিরকে। ব্যক্তিগত চতুর্থ ওভারে বল হাতে নিয়ে আবারও হন্তারক হিসেবে ধরা দেন খুররাম। এবার তার শিকার হন সাদমান ইসলাম। ইনসুইং দিয়েছিলেন পাকিস্তানি পেসার। অসতর্ক সাদমানের পেছনের স্টাম্প উড়িয়ে নেয় তার সেই ডেলিভারি। এ ওপেনার করেন ১০ রান।
৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া বাংলাদেশকে পথ দেখাতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত। সাদমান ফেরার ওভারে তিনিও স্টাম্প হারান খুররামের কাছে। সবচেয়ে বাজেভাবে আউট হন মুমিনুল হক। হামজার বলে ৩০ গজের ভিতরেই মোহাম্মদ আলীকে ক্যাচ দেন তিনি।
আগের ম্যাচে ১৯১ রানের বিশাল স্কোর করেছিলেন মুশফিকুর রহিম। কিন্তু দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ন্যূনতম লড়াইও করতে পারেননি। মীর হাজমার বলে আউটসাইড এজ হয়ে রিজওয়ানকে ক্যাচ দেন তিনি। সাকিবকে এলবিডব্লিউ করেন খুররাম।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৬ উইকেটে ৩১ রান নিয়ে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। লিটন দাস শূন্য ও মেহেদী হাসান মিরাজ ৫ রান নিয়ে ক্রিজে রয়েছেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।