সাধারণত একটি ফুটবল ম্যাচের নির্ধারিত সময় ম্যাচে সমতা বিরাজ করলে এক্সট্রা টাইমে খেলা গড়ায়। সেখানেও সমতা থাকলে পেনাল্টি শ্যুট আউটে ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণ হয়ে থাকে। এখানে প্রতিটি দলের জন্য ৫টি করে শট বরাদ্দ থাকে। কিন্তু এরপরও ম্যাচে সমতা থাকলে ফিফার আইনানুসারে ‘সাডেন ডেথ’ একটির পর একটি পেনাল্টি চলতে থাকে। যাকে ম্যারাথনও বলা চলে।
এবার এমনই এক ঘটনা ঘটেছে ফুটবল বিশ্বে। দু’দল মিলে ম্যারাথন এই টাইব্রেকার ৫৬ শটে গিয়ে থামিয়েছে। তবেই মিলেছে ম্যাচের রেজাল্ট। গত সোমবার (২০ মে) ঘটনাটি ঘটেছে ইসরায়েলের তৃতীয় বিভাগের সেমিফাইনাল প্রমোশনের প্লেঅফ ম্যাচে। খবর রয়টার্স
ম্যাচটিতে মুখোমুখি হয়েছিল এসসি দিনোমা ও চিমসন তেল আবিব। যেখানে নির্ধারিত ৯০ মিনিট ও অতিরিক্ত সময়ের খেলা ২-২ গোলে সমতা থাকে। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি টাইব্রেকারে গেলে ২৩-২২ গোলে জয় তুলে নেয় এসসি দিনোমা।
তবে ফুটবল বিশ্বে ম্যারাথন টাইব্রেকারের ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এর আগে ফুটবল বিশ্ব ৬৬ কিকের টাইব্রেকারও দেখেছে। সেটা অবশ্য বয়সভিত্তিক ফুটবলে। ১৯৯৮ সালে ডার্বি কমিউনিটি কাপের বয়সভিত্তিক দুই দলের মধ্যে। প্রতিপক্ষ ছিল মিকলওভার লাইটিনিং ব্লু সক্স ও চেলাস্টন বয়েজের অনূর্ধ্ব-১০ দল। ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হওয়ায় ফলাফল নির্ধারণে টাইব্রেকারের দারস্থ হয়। কিন্তু দুই দল মিলিয়ে ৬৬টি কিক নেয়। অবাক বিষয় জালে বল যায় মাত্র তিনবার। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে ব্লু সক্স ম্যাচটি জিতে নেয় ২-১ গোলে।
আনুষ্ঠানিক ফুটবলে দীর্ঘতম টাইব্রেকারটি হয়েছে ২০০৫ সালে, নামিবিয়ান কাপে। ফুটবল বিশ্ব এমন টাইব্রেকারও দেখেছে যে কিক নিতে নিতে অন্ধকার নেমে এসেছে চারদিকে। দুই দলই ম্যাচ শেষ না করে মাঠ ছেড়ে চলে গেছে। এক সপ্তাহ ধরেও টাইব্রেকার হওয়ার রেকর্ড রয়েছে। ২০০২ সালে যেটি ঘটেছিল ডমিনিকান নেশনস কাপে।
তবে স্বীকৃত পর্যায়ের ফুটবলে টাইব্রেকারে সবচেয়ে বেশি শটের আগের রেকর্ডটি হয়েছিল ইংল্যান্ডে। ২০২২ সালের মার্চে আর্নেস্ট আর্মস্ট্রং মেমোরিয়াল কাপে ৫৪ শটের টাইব্রেকারে বেডলিংটনকে ২৫-২৪ গোলে হারায় ওয়াশিংটন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।