আফগানিস্তান যেমন প্রথমবার সেমিফাইনাল খেলছে, সে জায়গায় থাকতে পারতো বাংলাদেশও। ২০১৭ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পা রাখতে পারতো নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
সুপার এইটের শেষ ভাগে হঠাৎ করেই সে সুবর্ণ সুযোগ চলে এসেছিল টিম বাংলাদেশের সামনে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সুপার এইটের শেষ ম্যাচে ১২.১ ওভারে ১১৬ রান করতে পারলেই সেমিতে পৌঁছে যেতেন শান্ত, লিটন, সাকিব, রিয়াদ, তাওহিদ হৃদয়, তাসকিন, মোস্তাফিজ ও তানজিম সাকিবরা।
কিন্তু সে লক্ষ্য পূরণ হয়নি। লক্ষ্য পূরণ হয়নি না বলে পূরণের চেষ্টাটাই করা হয়নি। ১২.১ ওভারে ১১৬ রান করা বহুদূরে শেষ পর্যন্ত ১৯ ওভারে ১১৪ রানও টপকে যেতে পারেনি শান্ত বাহিনী। ডিএল মেথডে ৮ রানে হেরে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষ করেছে টাইগাররা।
যাদের হারাতে পারলে শেষ চারে পা রাখা যেত, সেই আফগানরা যখন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেমির যুদ্ধে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে, ঠিক তখন দেশে ফেরার জন্য ব্যাগ, লাগেজ, ট্রলি গোছানোয় ব্যস্ত টিম বাংলাদেশের সদস্যরা।
সব ঠিক থাকলে আগামী ২৮ জুন শুক্রবার সকাল ৮ টায় ঢাকায় ফিরে আসবে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা।
মাঝে বেশ কিছু দিন সময়টা ভাল কাটেনি। বিশ্বকাপ শুরুর আগে যুক্তরাষ্ট্রর কাছে তিন ম্যাচের সিরিজ পরাজয়টা বাংলাদেশের অতিবড় সমর্থককেও ভাবিয়ে তুলেছিল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কি হয়, কি হয়?- এমন একটা অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। এক কথায় বুক ভরা শঙ্কা নিয়েই বিশ্বকাপে খেলতে নামে বাংলাদেশ।
শেষ পর্যন্ত অভাবনীয়ভাবে সেমিতে খেলার একটা সুযোগ চলে এসেছিল সামনে, সে সুযোগ কাজে লাগাতে না পারার হতাশা আছে অবশ্যই। তবে এটা সত্য যে, বাংলাদেশ যে অনিশ্চিত যাত্রা শুরু করেছিল, সে তুলনায় গ্রুপ পর্বের প্রাপ্তি মন্দ নয়।
বেশির ভাগ ভক্ত, সমর্থক ও বিশেষজ্ঞের ধারনা ছিল, বাংলাদেশ গ্রুপ পর্বে নেদারল্যান্ডস আর নেপালের বিপক্ষেই শুধু জিতবে। দক্ষিণ আফ্রিকা আর শ্রীলঙ্কার সাথে পারবে না।
কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কাকেও হারিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকাকেও হারানোর যথেষ্ঠ সম্ভাবনা ছিল; কিন্তু তীরে গিয়ে তরি ডোবে। প্রোটিয়াদের ১১৩ রানে থামিয়েও পারেনি শান্তর দল। ৪ রানে হেরেছে।
এছাড়া নেদরল্যান্ডস ও নেপালের সাথে যথাক্রমে ২৫ ও ২১ রানে জিতেছে টাইগাররা। তবে সুপার এইটে এসে তিন খেলার সবকটায় পরাজয় সঙ্গী থাকলো। অস্ট্রেলিয়ার কাছে বৃষ্টি ভেজা ম্যাচে ডিএল মেথডে ২৮ রানে এবং ভারতের কাছে ৫০ রানের পরাজয় ছিল সঙ্গী।
বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কখনই ৩ ম্যাচ জিতেনি। এবার ৩ ম্যাচ জিতেই দেশে ফেরত আসছে। বরং ব্যাটিং পারফরমেন্স ভাল হলে এবং ব্যাটাররা দায়িত্ব ও কর্তব্যটা যথাযথভাবে পালন করতে পারলে দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে গ্রুপ ম্যাচ আর আফগানিস্তানের সাথে সুপার এইটেও জেতারও সুযোগ এসেছিল। সে সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে সেমিফাইনালে পা রাখার সম্ভাবনাও ছিল।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।