ওয়ানডে ক্রিকেটে ডাবল সেঞ্চুরি হয়েছে ১২টি। কিন্তু প্রথম হিসেবে সবসময়ই উচ্চারিত হবে শচীন টেন্ডুলকারের নাম। সঙ্গে গোয়ালিয়রের ক্যাপ্টেন রূপ সিং স্টেডিয়াম। ২০১০ সালের ঐ ম্যাচের পর এখনো কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয়নি। টি টোয়েন্টির তাই প্রশ্নই নেই। বাংলাদেশকে দিয়ে ছোট ফরম্যাটে নাম লেখাতে চলেছে উত্তর প্রদেশের স্টেডিয়ামটি। যার আক্ষেপ শচীনকে ডাবল সেঞ্চুরির জন্য ঘোষিত দশ লাখ রুপি এখনও দিতে না পারা।
ভারতের তো বটেই বিশ্ব ক্রিকেটের কিংবদন্তি শচীন রমেশ টেন্ডুলকার। বলা হতো শচীন রেকর্ডের পেছনে ছুটতেন না বরং রেকর্ড তাকে তাড়া করে বেড়াত। ক্রিকেটের ইতিহাস লিখতে গেলে লিটল মাস্টারকে এড়িয়ে যাবার কোনো সুযোগ নেই। শচীন তেমনই এক ইতিহাস লিখেছিলেন গোয়ালিয়রের ক্যাপ্টেন রূপ সিং স্টেডিয়ামে।
মাত্র ১৪৭ বলে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন শচীন। ইনিংসের শেষ ওভারে চার্ল লেঙ্গেভেল্টের বলে সিঙ্গেল নিতেই উল্লাসে ফেটে পরে প্রায় ১৮ হাজার দর্শক। সেদিনের স্মৃতি এখনও স্পষ্ট মনে আছে গোয়ালিয়র ডিভিশন ক্রিকেট এসোসিয়েশনের সভাপতির।
গোয়ালিয়র ডিভিশন ক্রিকেট এসোসিয়েশনের সভাপতি প্রশান্ত মেহতা বলেন, আমি স্টেডিয়ামেই ছিলাম, পুরো গ্যালারি ভর্তি মানুষ ছিল এবং সবাই দাঁড়িয়েছিল তার সেঞ্চুরি উদযাপন করতে।
স্টেডিয়ামটি তার জৌলুস হারিয়েছে। বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্ট আর ইরানি কাপের কিছু ম্যাচ ছাড়া খুব একটা ব্যস্ততা থাকে না। ২০১০ এর পর শচীন টেন্ডুলকারও কখনো রূপ সিং স্টেডিয়ামে পা রাখেননি। তাই গোয়ালিয়র ডিভিশন ক্রিকেট থেকে ঘোষিত ১০ লাখ টাকার চেকও তুলে দেয়া হয়নি কিংবদন্তির হাতে।
গোয়ালিয়র ডিভিশন ক্রিকেট এসোসিয়েশনের সভাপতি আরও বলেন, এটা অনেক পুরোনো স্টেডিয়াম। অন্যান্য ভেন্যুর তুলনায় সুযোগ সুবিধাও কম। তাই এখন আর বেশি খেলা হয় না।
তবে গোয়ালিয়র এখনও শচীনকে ধারন করে। রূপ সিং স্টেডিয়ামের সব জায়গায় টেন্ডুলকারের স্মৃতি। শুধু তাই নয়, মাঠের অদূরে একটি রাস্তাও শচীনের নামে করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।